জমি সংক্রান্ত বিরোধ সদরে মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা॥ ননদ আটক


জমি সংক্রান্ত বিরোধ সদরে মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা॥ ননদ আটক

স্টাফ রিপোর্টার,
ময়মনসিংহে জমি সংক্রান- বিরোধের জের ধরে আনোয়ারা খাতুন (৫৫) নামের এক মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেহেনা খাতুন (৪০) নামে নিহতের ননদকে পুলিশ আটক করেছে। জেলা সদরের ভাবখালী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালী পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ইয়ািিসন আলীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন বিবাহের পর থেকে তার পিত্রালয় নারায়নপুরে বসবাস করে আসছে। এদিকে আনোয়ারার পৈত্রিক জমি নিয়ে তার চাচাতো ও জেঠাতো ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে আনোয়ারার চাচাতো ও জেঠাতো ভাইসহ অন্যরা এসে তাঁর বাড়ীতে হামলা চালায়। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাড়ীর উঠানে ভাতিজারা ফুফু আনোয়ারা খাতুনকে(৫৫) কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহত গৃহবধূর স্বামী ইয়াসিন আলীর বরাত দিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ইয়াসিনের সঙ্গে সাত্তারের জমিজমা ও নারী নির্যাতনের মামলা নিয়ে বিরোধ চলছিলওসি জানান, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইয়াসিনের বাড়ি গিয়ে তাঁর দুবাই ফেরৎ মেয়ে রোকেয়া বেগমের ওপর হামলা চালায় এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে সাত্তারের লোকজন। এ নিয়ে ইয়াসিন আলীর মেয়ে রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কোতুয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ঐ মামলা তুলে নিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের হামলা চালায় ছাত্তারের লোকজন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার জের ধরে ১১ই ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাত্তারের লোকজন আবারো হামলা চালায় ইয়াসিনের ওপর। এ সময় তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাধাঁ দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় সাত্তারের লোকজন। এতে ঘটনাস’লেই মারা যান আনোয়ারা বেগম। এ ঘটনার পর সাত্তারকে ধরতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ যায় । কিন’ সাত্তার বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রী রেহেনাকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী পুলিশের ওসি (তদন-) মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস’ল থেকে নিহতের ননদ রেহেনাকে আটক করে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদনে-র জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস’তি চলছে বলে ওসি কামরুল ইসলাম জানান।

মুসলমানদের নিয়ে যে অবাক করা কথা বললেন ওবামা

মুসলমানদের নিয়ে যে অবাক করা কথা বললেন ওবামা
মুসলিমবিরোধী সুর ক্রমশ বাড়ছে আমেরিকায়। সান বার্নার্ডিনোয় জঙ্গি হামলার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মুসলিমবিরোধী না হওয়ার আবেদন জানালেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম রুখতে আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। তবে তাই বলে, মুসলিমবিরোধী হবেন না।
রেডিও এবং ওয়েবের একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, আমেরিকার জনগণ যেন ইসলাম বনাম আমেরিকা সংঘাত-এমনভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ান। কারণ ইসলামিক স্টেট সেটাই চায়।
সেই সমস্ত আমেরিকাবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি, যাঁরা এই পরিস্থিতিতেও মূল্যবোধ হারাননি। ওবামা বলেন, প্যারিস ও বার্নার্ডিনোয় জঙ্গি হামলার পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন এসেছে, কী করা উচিত। প্রথমে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়ে, তৎক্ষণাৎ তা আইনরক্ষকদের জানান।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে চাইছে। এই কারণেই অকারণে ভয়, হিংসার পরিবেশ গড়ে তুলছে তারা। আমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বহু মুসলিম আছেন, যাঁরা কারও বন্ধু, প্রতিবেশী বা সহকর্মী।
আমেরিকার সমস্ত মুসলিম নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সকলেই মার্কিন পরিবারের সদস্য। তাই প্রত্যেকেরই উচিত এই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বাবা মা-র উচিত সন্তানদের বোঝানো, শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের এই বার্তা দেওয়া, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন সমস্ত ক্ষেত্রেই এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ওবামা।
- See more at: http://www.eurobdnews.com/international/4068/-------#sthash.Q4Lb9ViL.5fRHLGMv.dpuf

মুসলমানদের নিয়ে যে অবাক করা কথা বললেন ওবামা

মুসলমানদের নিয়ে যে অবাক করা কথা বললেন ওবামা
মুসলিমবিরোধী সুর ক্রমশ বাড়ছে আমেরিকায়। সান বার্নার্ডিনোয় জঙ্গি হামলার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মুসলিমবিরোধী না হওয়ার আবেদন জানালেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম রুখতে আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। তবে তাই বলে, মুসলিমবিরোধী হবেন না।
রেডিও এবং ওয়েবের একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, আমেরিকার জনগণ যেন ইসলাম বনাম আমেরিকা সংঘাত-এমনভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ান। কারণ ইসলামিক স্টেট সেটাই চায়।
সেই সমস্ত আমেরিকাবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি, যাঁরা এই পরিস্থিতিতেও মূল্যবোধ হারাননি। ওবামা বলেন, প্যারিস ও বার্নার্ডিনোয় জঙ্গি হামলার পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন এসেছে, কী করা উচিত। প্রথমে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়ে, তৎক্ষণাৎ তা আইনরক্ষকদের জানান।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে চাইছে। এই কারণেই অকারণে ভয়, হিংসার পরিবেশ গড়ে তুলছে তারা। আমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বহু মুসলিম আছেন, যাঁরা কারও বন্ধু, প্রতিবেশী বা সহকর্মী।
আমেরিকার সমস্ত মুসলিম নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সকলেই মার্কিন পরিবারের সদস্য। তাই প্রত্যেকেরই উচিত এই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বাবা মা-র উচিত সন্তানদের বোঝানো, শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের এই বার্তা দেওয়া, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন সমস্ত ক্ষেত্রেই এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ওবামা।
- See more at: http://www.eurobdnews.com/international/4068/-------#sthash.Q4Lb9ViL.5fRHLGMv.dpuf

মন্তব্যসমূহ