ভালুকায় অসহনিয় যানজট নিরসনে পৌরবাসীর স্বস্তির নিস্বাস


স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন যাবত প্রায় নিয়মে পরিণত হওয়া ভালুকা পৌরসদরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে,স্থানীয় প্রশাসনের উদাসিনতায় ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে যানবাহন পার্কিং করে রাখা ও চলার কারণে অসহনীয় যানজটের কারণে,পৌরবাসীকে অন্তহীন বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছিল। এ বিড়ম্বনা থেকে পরিত্রানের জন্য,জন প্রতিনিধি,ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনের ও পৌরসভার মেয়রের কাছে বার বার হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন ফল না পাওয়ায় পৌরবাসী হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। 

জানাযায়,ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হতে গফরগাঁও সড়ক ও থানার মোড় হতে পনাশাইল সড়কের প্রবেশদ্বারে কয়েকশ সিএনজি,ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা,যাত্রীবাহী পিক-আপ ভ্যান ও বাস অনিয়ন্ত্রিত ভাবে রাস্তার উপর পার্কিং ও যাত্রী ওঠা-নামা করায় প্রায় সব সময়ই অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হতো। ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের প্রথম দুই কিলোমিটারের মধ্যে,ভালুকা উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা, একাধিক ব্যাংক,তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক কার্যালয় ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিশাল আবাসিক এরিয়া থাকায় এ সড়কটি ভালুকার সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু মহাসড়ক থেকে এ সড়কের প্রবেশদ্বার প্রায় সব সময়ই অবরুদ্ধ থাকতো। এলোপাথারি উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক যানবাহন পার্কিং ও যাত্রী ওঠা-নামার ফলে সর্ব সাধারনকে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এমনকি কোথাও আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও এখানে কমপক্ষে আধা ঘন্টার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। 

এ ব্যাপারে বহুবার উপজেলা আইন-শৃংখলার মাসিক সভায় ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ গ্রহন করে জন প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অসহযোগীতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। ফলে অসহনীয় যানজটের কারণে পৌরবাসীর বিড়ম্বনা ও জনদুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে পরে। এ দুর্ভোগের স্থায়ী নিরসন কল্পে জেলা প্রশাসকের নির্দেক্রমে,ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল আহসান তালুকদারের নেতৃত্বে,সওজ,র‌্যাব,বিজিবি ও পুলিশের সহযোগীতায় গত ১০ নভেম্বর মহাসড়কের দুপাশে ভালুকা ডিগ্রি কলেজ হতে সিডষ্টোর বাজার পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। পার্কিং ও যাত্রী উঠা-নামার জন্য স্থান নির্ধারন করে নিয়মিত মনিটরিং করার ফলে, পৌরবাসীর অন্তহীন বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপে পৌরবাসীর মধ্যে ব্যাপক সন্তুষ্টি ফিরে এসেছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, আমরা জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছি,মালিক ও চালকরা নিয়মে চললে জন দুর্ভোগের অবসান হবে। 

ইউএনও কামরুল আহসান তালুকদার জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মহাসড়কের পাশে জায়গায় খালি করে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যম্যে পাকিং ও যাত্রী ওঠা-নামার জন্য স্থান নির্ধারন করা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,মডেল থানার ওসি ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে নিয়মিত মনিটরিং করে আসায় এ জনদুর্ভোগ নিরসন সম্ভব হয়েছে। 

মন্তব্যসমূহ