ঢাকা: জ্বলে উঠলে তিনি কতটা ভয়ংকর তা বুঝতে পারেন
প্রতিপক্ষের বোলাররা। ঠিক আজ যেমন বুঝল চিটাগং ভাইকিংসের বোলাররা। প্রথম
দুই ম্যাচে করেছেন আট রান করে। ক্রিস গেইলকে নিয়ে তাই সবার মধ্যে ছিল
ধোঁয়াশা। কবে নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন তিনি। তবে বুধবার চিটাগং
ভাইকিংসের বিরুদ্ধেই স্বরুপে ফিরলেন বরিশাল বুলসের এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং
দানব। যার ব্যাটে রীতিমতো উড়েই গেল আগেই বিদায় নেয়া চিটাগং ভাইকিংস।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে
চিটাগং। জবাবে গেইল ঝড়ের বদান্যতায় ৩০ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেটে জয়ের
বন্দরে পৌছায় বরিশাল বুলস। মাহমুদুল্লাহ শিবির পায় আট উইকেটের দাপুটে জয়।
শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চেয়েছিল চিটাগং। গেইলের কারণে তা
বিফলেই গেল।
১০ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ই সান্তনা চিটাগংয়ের। অন্যদিকে আগেই শেষ চারের
খেলা নিশ্চিত করা বরিশাল বুলস নয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয়
স্থানেই। বৃহস্পতিবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিরুদ্ধে মাঠে
নামবে বরিশাল।
লক্ষ্য ১৩৬। টি২০ ভার্সনে এমন লো স্কোরিং ম্যাচেও উঠে আসে রাজ্যের
উত্তেজনা। তবে গেইলের ব্যাট হাসলে সব রোমাঞ্চ ভর করে তার উপর, ম্যাচ হয়ে
যায় একপেশে। আজও তাই হয়েছে। ৩১ রানের মধ্যে বরিশালের রনি তালুকদার (১) ও
মেহেদী মারুফ (১৮) দ্রুত বিদায় নিলে শংকা তৈরি হয়েছিল। তবে তা মিইয়ে যায়
তৃতীয় উইকেট জুটিতে গেইল-মাহমুদুল্লার দুরুন্ত ব্যাটিং। মাহমুদুল্লাহ অবশ্য
সঙ্গ দিয়ে গেছেন, বাকিটা করেছেন গেইল একাই।
শুরু থেকে একটু ধীরলয়ে ব্যাটিং করেছেন গেইল। তারপর ধীরে ধীরে বের হয়ে
এসেছেন খোলস ছেড়ে। ৩৬ বলে করেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৯২
রান করে। ১৫তম ওভারে মেন্ডিজের বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত
করেন তিনি। আফসোস, সেঞ্চুরিটা হলো না।
গেইলের ঝড়ো ইনিংসে চারের চেয়ে ছক্কাই ছিল বেশী। ছক্কা ছিল নয়টি, চার
ছয়টি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলে ফিফটির পর শেষের ৪২ রান গেইল করেছেন মাত্র
১১ বলে, সত্যিই বিস্ময়কর। অন্যদিকে ২৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন বরিশাল
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল চিটাগংয়ের। তামিমের
অনুপস্থিতিতে দিলশানের সঙ্গে জুটি বাধেন এনামুল হক বিজয়। এই জুটিতে ৫২ রান
সংগ্রহ করে তারা।
২২ বলে ২৮ রান করে আল আমিনের বলে বিদায় নেন দিলশান। এর কিছুক্ষণ পর ১৮
বলে ২৮ রান করে সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও।
এরপর আর কার্যকরী জুটি গড়ে ওঠেনি। ৩০ বলে ২৫ রান করেন পাকিস্তানী
ব্যাটসম্যান উমর আকমল। মেন্ডিস (৩) ও নাঈম (৪) দ্রুত ফিরলেও শেষের দিকে ১৪
বলে ১৭ রান করেন আসিফ আহমেদ। বিলওয়াল ভাট্টি ৯ রানে থাকেন
অপরাজিত। বরিশালের হয়ে কেভন কুপার ও মোহাম্মদ সামি দুটি, আল আমিন, সোহাগ
গাজী ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট নেন।
মন্তব্যসমূহ