গৌরীপুরে ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর কোলে শিশু আসামিদের হুমকিতে বাড়িছাড়া বাদী

গৌরীপুর সংবাদদাতা,:  ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর কোলে এখন শিশু। ধর্ষিতা ও তার পরিবার ওই শিশুটি নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারণে ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা বাদীকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে চলেছে। এদিকে শিশুর কোলে অতি সম্প্রতি জন্ম নেয়া পুত্র সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে ধর্ষিতার পরিবার।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার দরিদ্র পিতা গৌরীপুর উপজেলার বীর আহাম্মদপুর গ্রামের মোঃ আবু ইউসূফ বাচ্চু বৃহস্পতিবার (২৮ জানুযারী) গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুবিচার চেয়েছেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার কন্যা শাহগঞ্জ শহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রায় ৮ মাস পূর্বে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই এস এম আরিফের লম্পট পুত্র এস এম আলিম ছোটন (২৪) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষনের ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে উভয়ের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে এনিয়ে এলাকায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপসি’তিতে বেশ কয়েকবার দরবার শালিস হয়। স্থানীয় দরবার শালিসে ধর্ষক ও তার পরিবার ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের মাধ্যমে ঘরে তুলে নেয়ার আশ্বাস দেয়। সেই অনুযায়ী বিয়ের আয়োজন করা হলেও সুকৌশলে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায় বর। স্থানীয় দেন দরবারে বিচার না পেয়ে আবু ইউসুফ বাদী উক্ত ধর্ষনের ঘটনায় ছোটনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গৌরীপুর থানার মামলা নং-১৮/১৯৪, তারিখ-২১/১০/২০১৫ ইং। মামলা দায়েরর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ এখনো পর্যন্ত ধর্ষক ছোটনকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আদালতে চার্জসীটও দাখিল হয়নি। বর্তমানে ধর্ষনের মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকীর মুখে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানায় একটি জি,ডি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতার বাবা আবু ইউসূফ বলেন, হুমকি দেয়ার পর থানায় মামলা করেছি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন’ পুলিশ তাদের ধরছে না। ওদের ভয়ে বাড়ি থাকতে পারছি না। ওরা হুংকার দিয়ে বলছে, মামলা উঠাইয়া না আনলে তোকে শেষ করে দিবো। আমি ও আমার পরিবারের লোকেরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি জানান, ১৯ জানুয়ারি তার মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছে। মা ও শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো না। এ অবস্থায় কি করবো বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানার ওসি মো. আখতার মোর্শেদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমানের সঙ্গে কয়েক দফা মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্যসমূহ