মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় মেহের গ্রামে এমরান মাতুব্বর নামে এক যুবক খুন হয়েছে। নিহতের মা দাবী করেছেন তিনি নিজেই তার সন্তানকে খুন করেছেন। এই ঘটনায় নিহতের মা মাকসুদা বেগম এবং পিতা ইদ্রিস মাতুব্বরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদারীপুর সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বড় মেহের গ্রামে এমরান মাতুব্বর দীর্ঘদিন যাবত তার নিজ মাকে বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সোমবার বিকালে এমরান তার মাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় দা দিয়ে এলোপাথারি কোপালে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরিদপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে নেয়ার পথে আজ মঙ্গলবার সকালে মারা যায়। ঘটনার পর থেকে নিহতের ছোট ভাই এনামুল পলাতক রয়েছে।
নিহত মা মাকসুদা বেগম জানান, ‘আমার সন্তানকে আমি নিজ হাতে খুন করেছি। ও একটা অমানুষ।আমার সাথে খারাপ সম্পর্ক করতে চেষ্টা করছে পরে আমি নিজেই ওকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করি।’
পিতা ইদ্রিস মাতুব্বর জানান, ‘এমরান দীর্ঘদিন যাবত নেশা করে ওর মার সাথে খারাপ ব্যবহার করত।’ নিহতের চাচী হাসিনা বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এমরান ওর বোনের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে।’
মাদারীপুর সদর থানার এস আই শ্যামল সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, এই ঘটনায় নিহতের মা ও বাবাকে জিজ্ঞসাসবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি হয়তো নিহতের ছোট ভাই খুন করতে পারে। তবে আমরা জানতে পেরেছি নিহত এমরান ওর মার সাথে খারাপ ব্যবহার করত।
মন্তব্যসমূহ