ঢাকা: এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে অতটা মাতামাতি করেননি অনেকেই। টি-২০তে নাকি অনভ্যস্ত মাশরাফি-তামিম-সাকিবরা। তাই ফেবারিট বলতেও দ্বিধা করেছিলেন ক্রিকেটবোদ্ধা। কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে নিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হারায় টি-২০তে বাংলাদেশের করুণ পরিণতিই দেখেন সমালোচকরা।
এরপর শুরু সমালোচদের জবাব দেয়ার পালা বাংলাদেশের। তৈরি করা ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। যে গল্পে নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশকে জয়ে ফেরান এই অলরাউন্ডার। এ যে গল্পের ভূমিকা মাত্র।
পরের ম্যাচে এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ যাত্রায় লঙ্কা বধে ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৮০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান রুম্মান।
বুধবার মিরপুরে বাংলাদেশের টাইগাররা যা ঘটালেন, তা সত্যিই আশা জাগিয়ানা। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালের নিশ্চয়তা পেয়ে গেছেন মাশরাফিরা। ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিল স্বাগতিকরা। শেষ দিকে চাপটা সামলাতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। কিন্তু লড়াকু অধিনায়ক মাশরাফি জয়ের বন্দরে নোঙর ফেললেন ভরসার প্রতীক দুর্দান্ত সময় পার করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। অবিস্মরণীয় এক জয় পেল বাংলাদেশ।
এবার টাইগারদের সামনে ভারতকে গুঁড়িয়ে দেয়ার পালা। আগামী ৬ মার্চ মিরপুরে ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। টিম ইন্ডিয়াকে বধ করতে পারলে ২০১২ সালের আক্ষেপ ঘোঁচাতে পারবে বাংলাদেশ। গড়বে ইতিহাস। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা উঠবে বাংলাদেশের শোকেসে। দারুণ ছন্দে থাকা টাইগারদের জন্য এখন ওটা বাস্তবে করে দেখানো ব্যাপার না!
মন্তব্যসমূহ