গাইবান্ধা: ছাত্রীকে
চুমু ও কামড়ে দেয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আয়নাল হক (৪৫)। তবে ছাত্রীকে চুমু খাওয়া ও কামড় দেয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠেছেন। তারা বিক্ষোভ করে অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ওই স্কুলে।
জানা গেছে, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চুমু খায়। এসময় ছাত্রীর হাতে কামড় দেয় বলেও অভিযোগ মিলেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উদাখালী গ্রামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওইছাত্রী অন্যান্য দিনের মতো গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সে বিদ্যালয়ে যায়। দুপুরের দিকে প্রধান শিক্ষক আয়নাল হক যৌন উত্তেজনায় ওই ছাত্রীকে কাছে ডেকে নিয়ে তার হাতে ও গালে চুমু দেন। এ সময় শিক্ষকের এ ধরনের আচরণে ও লজ্জায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।
ছাত্রীকে চুমু দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন।
খবর পেয়ে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুলাহিল সাফি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আয়নাল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি গাইবান্ধায় পৌঁছে। এ তথ্য জানান ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল সাফি।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্যসমূহ