অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা মুসলিমদের জন্য বৈধ’ দাবী নারী অধ্যাপকের

suad_99083_0
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা মুসলিমদের জন্য বৈধ’ ! এমনকি মহান আল্লাহ বিশেষ ক্ষেত্রে  অমুসলিম নারীদের ধর্ষণের অনুমতি দিয়েছেন’  এমনটাই মন্তব্য করেছেন মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী অধ্যাপক। সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ইসলামী সওয়াল – জবাবের অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন ।
তবে এই মন্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুধু নয় তোপেড় মুখেই  পড়েছেন সুয়াদ সালেহ নামের ওই নারী অধ্যাপক।
সম্প্রতি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আল্লাহ মুসলমানদের অমুসলিম নারীদের ধর্ষণের অনুমতি দিয়েছেন।
তার এমন মন্তব্যকে ইতমধ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে প্রতিবাদ চলছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই বলছেন, একজন নারী হয়ে নারীর মর্যাদা খাটো করে ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তিনি । এছাড়া দেশটির সুনামধন্য একটি টেলিভিশনে এই বক্তব্য প্রকাশকেও অনেকেই দেখছেন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সেদিন কি বলেছিলেন এই সমালোচিত অধ্যাপিকা
তিনি বলেন, কোনো মুসলিম পুরুষ চাইলে দাষীদের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক করতে পারবে। এটা বৈধ। মুসলিমদের সঙ্গে শত্রুপক্ষের যুদ্ধের সময় মুসলিম পুরুষরা অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করতে পারবে।
1453123350
এ সময় তিনি ইসরায়েলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, মুসলিম পুরুষরা ইসরায়েলের নারীদের ধর্ষণ করলে সেটি অবৈধ হবে না। মুসলিম পুরুষরা যাতে ইসরায়েলি নারীদের ধর্ষণ করে সেজন্য উৎসাহও দেন এই নারী অধ্যাপক।
সুয়াদ সালেহ বলেন, যুদ্ধবন্দী নারীরা মুসলিম সেনাপতিদের সম্পত্তি। সেনাপতিরা নিজেদের স্ত্রীর সঙ্গে যেভাবে যৌন সম্পর্ক করে ঠিক একইভাবে এই বন্দী নারীদের সঙ্গেও করতে পারবে।
মিসরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের এই সাক্ষাতকার প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতেই এসব মনগড়া মন্তব্য করেছেন সুয়াদ সালেহ।

মন্তব্যসমূহ