বনশ্রীতে ভাই-বোনের মৃত্যুর ঘটনায় মা মাহফুজা ফের রিমান্ডে



রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে দুই ভাই-বোন অরণী ও আলভীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মা মাহফুজা মালেক জেসমিনের ফের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৯ মার্চ) জেসমিনকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ফের ১০ দিনের রিমান্ড চান ডিবি পুলিশ পরিদর্শক লোকমান হেকিম।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত সিএমএম আলমগীর কবির রাজ জেসমিনের ফের ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত ৪ মার্চ জেসমিনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ২ মার্চ নিহত দুই শিশুর ব্যবহৃত চাদর, বালিশের কাভার, টিস্যু ও কম্বলের ডিএনএ প্রোফাইল এবং চাইনিজ খাবার ও পানির বোতলের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিবারটি রেস্টুরেন্টে খেয়ে চাইনিজ খাবার বাসায় নিয়ে আসে। ২৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাবার নিয়ে আসা ওই চাইনিজ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে দুই ভাই-বোন অরণী ও আলভী। কিন্তু সন্ধ্যায় দীর্ঘ সময় ডাকার পরও না জাগায় অচেতন অবস্থায় তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে খাবারের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
অরণী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণি এবং তার ভাই আলভী হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
বনশ্রী বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাসায় ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মৃত্যু ঘটে নুসরাত আমান অরণী (১৪) ও আলভী আমান (৬) নামে ওই দুই ভাই-বোনের। তারা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আমানউল্লাহ আমান ও গৃহিণী জেসমিন আক্তার দম্পতির সন্তান।
ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ময়না তদন্ত শেষে ১ মার্চ সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দু’জনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অরণীর চোখে রক্ত জমাট ও গলায় আঘাত এবং আলভীর পায় ও গলায় আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ