ঢাকা: ভারতে নিজের বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ৩২ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকের নাম হাসনিল ওয়ারিকার। তিনি ইনকাম ট্যাক্সের কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে মুম্বাই শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের থানে এলাকায় এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘাতক নিজের বাড়িতে গভীর রাতে স্বজনদের হত্যার পর আত্মহত্যা করেন।
ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে সাত শিশু এবং ছয় নারী। নিহত শিশুদের বয়স তিন থেকে ১৬। হত্যার আগে স্বজনদের ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে অচেতন করেছিল ঘাতক। পরে সবার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মৃত্যুর আগে তারা যে খাবার খেয়েছিল তা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। তার হাতে একটি ছুড়ি ছিল। পুলিশের ধারণা এই ছুড়ি দিয়েই সে তার স্বজনদের গলা কেটে হত্যা করেছে।
ওই ঘাতকের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে তার বোন সুবিয়া (২২)। তার ভাই যখন পরিবারের সদস্যদের হত্যা করছিল তখন সে কোনো ক্রমে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশি এবং পুলিশকে খবর দিয়েছিল।
সুবিয়ার এক প্রতিবেশি বলেন, ‘রাত একটার দিকে সুবিয়ার চিৎকারে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। সুবিয়া সেসময় চিৎকার করে সবার কাছে সাহায্য চাইছিল। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই।’
ওই ঘটনার এক মাত্র সাক্ষী সুবিয়া মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় তাকে আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাই এখনও ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনো কিছু জানা যায়নি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ