হবিগঞ্জ : জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নোয়াগাঁও হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশু হারিয়ে যায়নি বা অপহরণের শিকারও হয়নি। তারা পড়াশোনার ভয়ে পালিয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
শনিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জয় দেব ভদ্র জানান, শিশুগুলো হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় ফুফুর বাড়িতে রয়েছে। তবে সেটা কার ফুফুর বাড়ি তা জানা যায়নি।
জয়দেব বলেন, ধারণা করা হচ্ছে লেখাপাড়ার ভয়ে তারা মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেছে। তবে শিশুদের উদ্ধারের পর আসল তথ্য জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, শিশুদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ নবীগঞ্জ থাকায় অবস্থান করছে। সেখানে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতা উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
এর আগে শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৪১৫) দায়ের করেন নিখোঁজ শিশু রাফিদের বাবা বাহুবল উপজেলার চারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আহমদ রশিদ মনু মিয়া।
নিখোঁজ চার শিশু হচ্ছে- বাহুবল উপজেলার চারগাঁও গ্রামের আহমদ রশিদ মনু মিয়ার ছেলে রাফিদ (১৩), একই উপজেলার আব্দানারায়ন গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে ইমতিয়াজ (১২), হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ধরিয়াপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে সোহানুর (১১) ও নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুর গ্রামের আব্দুল্লার ছেলে নয়ন (১২)। তারা সবাই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাংবাজার এলাকার বাছিরগঞ্জ পূর্ব নোয়াগাও হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাদরাসা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ বাজারে আসে তারা। এরপর আর মাদরাসা বা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চার শিশু। ৫ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দুরে ইসাবিল এলাকা থেকে বালি চাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও ১৬ ফেব্রুয়ারি সদরের দক্ষিণ চরহামুয়া থেকে নিখোঁজ হয় সাইফুর রহমান আনন্দ ও ৫ মার্চ শহরের রাজনগর এতিমখানা সড়কের কাশেম মিয়ার ছেলে ও শায়েস্তাগঞ্জ ফর্দ্রখোলা আনোয়ার মদিনা মাদরাসার ছাত্র তায়েন মিয়া (১৩) নামে এক শিশু।
মন্তব্যসমূহ