গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্পটে শীতকালীন মেলার নামে চলছে জুয়া, হাউজি ও অশ্লীল নৃত্যের আসর। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ডের ফলে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
কয়েকটি স্থানে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করার পরেও প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় বন্ধ করা যাচ্ছে না মেলার নামে অসামাজিক কর্মকাণ্ড।
শ্রীপুর পৌরসভার বেরাইদেরচালা এলাকায় গত ৩ মাসের অধিক সময় ধরে চলছে শীতকালীন মেলা। উক্ত মেলার আয়োজক পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ লটারী ও পুতুল নাচ। নিউ মনি মুক্তা র্যাফেল ড্রর নাম করে প্রতিদিন ৫০টির অধিক গাড়িযোগে ২০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ।
মেলার আয়োজক কমিটির সংশ্লিষ্ট একজন জানান প্রতিদিন টিকিট বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকার ওপরে। যদিও পুরস্কার দেয়া একটি মোটরসাইকেল।
রাত ১০টার পর থেকে পুতুল নাচের নাম করে ১০০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ৩০ মিনিট করে চলে অশ্লীল নৃত্য। যা চলে ভোর পর্যন্ত।
এদিকে শ্রীপুরের জৈনা বাজারে আরো একটি মেলার আয়োজনের চেষ্টা হলে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল বাতেন সরকারের নেতৃত্বে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা মেলার পেন্ডেল ভাঙচর করে পুড়িয়ে দেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে জৈনা বাজারে মেলা করতে না পেরে তা শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া বাজারে স্থানান্তর করা হয়। যা শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
মেলার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, মেলায় অসামাজিক কোন কিছু হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম জানান, প্রশাসন এসব মেলার অনুমোদন দেয় না। অনুমোদনহীন মেলার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুল আলম প্রধান জানান, আওয়ামী লীগ মেলার নামে অসামাজিক কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। দলীয় সম্মান ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/02/13/102779.php#sthash.uTdnDFMl.dpufকয়েকটি স্থানে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করার পরেও প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় বন্ধ করা যাচ্ছে না মেলার নামে অসামাজিক কর্মকাণ্ড।
শ্রীপুর পৌরসভার বেরাইদেরচালা এলাকায় গত ৩ মাসের অধিক সময় ধরে চলছে শীতকালীন মেলা। উক্ত মেলার আয়োজক পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ লটারী ও পুতুল নাচ। নিউ মনি মুক্তা র্যাফেল ড্রর নাম করে প্রতিদিন ৫০টির অধিক গাড়িযোগে ২০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ।
মেলার আয়োজক কমিটির সংশ্লিষ্ট একজন জানান প্রতিদিন টিকিট বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকার ওপরে। যদিও পুরস্কার দেয়া একটি মোটরসাইকেল।
রাত ১০টার পর থেকে পুতুল নাচের নাম করে ১০০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ৩০ মিনিট করে চলে অশ্লীল নৃত্য। যা চলে ভোর পর্যন্ত।
এদিকে শ্রীপুরের জৈনা বাজারে আরো একটি মেলার আয়োজনের চেষ্টা হলে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল বাতেন সরকারের নেতৃত্বে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা মেলার পেন্ডেল ভাঙচর করে পুড়িয়ে দেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে জৈনা বাজারে মেলা করতে না পেরে তা শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া বাজারে স্থানান্তর করা হয়। যা শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
মেলার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, মেলায় অসামাজিক কোন কিছু হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম জানান, প্রশাসন এসব মেলার অনুমোদন দেয় না। অনুমোদনহীন মেলার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুল আলম প্রধান জানান, আওয়ামী লীগ মেলার নামে অসামাজিক কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। দলীয় সম্মান ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ