সোহেল আহমেদ সিলেট থেকে:-
নারায়নগঞ্জ থেকে সিলেটের গোলাপগঞ্জে আশ্রয় নেয়া প্রেমিক-প্রেমিকার ঠাই হয়েছে বাসরঘরের পরিবর্তে শ্রীঘরে। তারা হলেন, দুই সন্তানের জননী ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা (২২) ও প্রেমিক ফাহাদ (২৮)।সোমবার রাতে পুলিশের হাতে আটকের পর মঙ্গলবার তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। জানা যায়, নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লার কাসিমপুর গ্রামের ইউসুফ রানার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা (২২) ও একই থানার মহসিন তালুকদারের ছেলে ফাহাদ (২৮) এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তাদের প্রেমের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান পুস্পার নানী সালমা বেগম। জোর পুর্বক পুস্পাকে অন্য এক ছেলর সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিবাহের পর থেকে পুর্বের প্রেমিক ফাহাদের সাথে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। ইতিমধ্যে পুস্পা দু’সন্তানের জননী হলেও প্রেমের কাছে তিনি হার মানেননি। এর ফলে প্রেমিক জুটি বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালানোর সিদ্বান্ত নেন। তারা প্রথমে সিলেটে এসে হযরত শাহজালাল (র:) এর মাজারে আসে এরপর চলে যায় গোলাপগঞ্জে। সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর রাতে তারা গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সিলেট-ঢাকাদক্ষিন সড়কের টিকরবাড়ি এলাকায় খাসিখাল ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে রহস্যজনক ঘোরাফেরা করতে থাকে। এ সময় এলাকার লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে । তখন তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয় । এ সময় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মৃদুল ও এসআই আতিক
তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন । আটকের পর থানায় এ জুটি পুলিশকে জানায়, তারা অবিবাহিত । পরে পুলিশ তাদের আত্মীয়স্বজনদের খবর দিলে মঙ্গলবার
সকালে পুষ্পার নানী সালমা বেগম সকালে থানায় আসেন । তিনি পুলিশকে জানান, ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা এর সাথে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজাইরাম থানার ওলাকান্দি
গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সজল আহমদের সাথে বিবাহ হয় ২০১০ সালে ২৫শে জানুয়ারী । বিবাহের পর তাদের সংসারে চলে আসে দু’কন্যা সন্তান সন্ধি আক্তার (৩) ও দেড় বছরের সুম্মিতা আক্তার কিন্ত তার পরো গোপনে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমে মগ্ন ছিল ফাহাদ ও ইয়াছমিন । ইয়াছমিন আক্তার পুষ্পা পুলিশকে জানান, তার সাথে বর্তমান
স্বামী কোন মিল ছিলনা এই বিয়েতেও তিনি রাজি ছিলেন না জোরপূর্বক তার নানি সালমা বেগম এ বিয়ে দিয়েছেন । ফাহাদের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে
জানায় । এ ঘটনার পর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ।
মন্তব্যসমূহ