আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। অচিরেই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে শনিবার দুপুরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে, সারাদেশে শক্তিশালী ভিত তৈরি হয়েছে। তাই আগামী বিশ বছরেও আওয়ামী লীগকে সরিয়ে কারও ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই।’
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত মিলে অশুভ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছে। যে কারণে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
দীর্ঘ ১১ বছর পর গাইবান্ধায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুরে জেলা শহরের শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়াম মাঠে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ।
সম্মেলন উদ্বোধনের পর কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল যাতে নিয়মিত হয় সে ব্যাপারে সকলকে তৎপর থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দৃঢ় ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিল ও সম্মেলন সেটাই প্রমাণ করে।’
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হীরুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবি তাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে আগামী তিন বছরের জন্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। এতে অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হীরুকে সভাপতি ও আবু বক্কর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারা দুজনেই আগের কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ গাইবান্ধা শহর ও সদর থানা কমিটিও ঘোষণা করেন। গাইবান্ধা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে গাইবান্ধা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এমারুল ইসলাম সাবিন এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিনুজ্জামান রিংকুর নাম ঘোষণা করেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য তা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বর্ণাঢ্য সাজে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অংশগ্রহণ করে। স্টেডিয়াম মাঠটি লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
মন্তব্যসমূহ