রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) :
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ইউনিয় পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় কৃষক জবেদুল
ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তির বাড়িঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরাজিত মেম্বার প্রার্থী রেজাউল ইসলামের কর্মীরা ওই আগুন লাগিয়ে দেয় বলে
অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই আগুন লাগানোর ঘটনাটি ঘটে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই গ্রামে।
জবেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ১১ এপ্রিল
অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ড সদস্য পদে রেজাউল ইসলামকে ভোট না দেয়ার
কারণে তার লোকজন আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। নির্বাচনের পরের দিনই
নানাভাবে হুমকিধামকি দিয়ে আসছিল। তাছাড়া আমাদের বাড়িতে তার লোকজনই যে আগুন
দিয়েছে তা গ্রামের অনেক মানুষই জানে। আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহান
মিয়া (২২) ও সিরাজুল ইসলাম (২০) নামের দুইজনকে চিনতে পারা গেছে। ওই দুই
যুবক পরাজিত প্রার্থী রেজাউল ইসলামের কর্মী। এটাও সবাই জানে। ভাগ্য ভালো
ছিল গ্রামের মানুষ সময় মতো দেখতে পেয়েছিল। তা না হলে আগুনে আমার বাড়িঘর সব
পুড়ে ছাই হয়ে যেতো।
আগুন লাগানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিচ্ছেন না
কেন? এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন চেয়ারম্যানের বাড়িতে
গিয়েছিলাম। তিনি থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেছেন। বসে মিমাংশা করে দিবেন
বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাছাড়া ওই পরাজিত মেম্বার প্রার্থী চেয়ারম্যানের কাছের
লোক। তারা ক্ষমতাসীন দল করে। তাদের কথা না শুনে মামলা করলে গ্রামেই থাকতে
পারবো না আমরা।’
উল্লেখ্য, রাজীবপুরের কোদালকাটি ইউনিয়নের
৫নং ওয়ার্ড সদস্য পদে রেজাউল ইসলামকে পরাজিত করে বিজয়ী হন ফরিদুল ইসলাম
নাম। ওই বাড়ির লোকজন রেজাউল ইসলামকে ভোট না দিয়ে দিয়েছিল ফরিদুল ইসলামকে।
এটাই ছিল তাদের অপরাধ!
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরাজিত
প্রার্থী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘এটা মিথ্যা অভিযোগ। আমার কোনো লোক ওই আগুন
দেয়ার ঘটনা ঘটায়নি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারা আমাকে দোষ দিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট কোদালকাটি ইউনিয়নের নবাগত
চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু বলেন, ‘তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি বিষয়টি
দেখতে চেয়েছি। তবে আমি নিশ্চিত কেউ আগুন দেয়নি। হয়তো বিড়ি সিগারেটের আগুন
থেকে হয়েছে।’
ভোট না দেয়ার কারণে আগুন দেয়ার বিষয়ে জানতে
চাইলে রাজীবপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) পৃথীষ কুমার জানান, ওই ধরনের কোনো
ঘটনা আমার জানা নেই। থানায় কেউ আসেনি অভিযোগ নিয়ে।
মন্তব্যসমূহ