ভালুকায় দুই পুলিশ গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন। আহতদের ভালুকা
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেযে ভালুকা থানা থেকে
অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরীহ জনতাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে বলে
অভিযোগ উঠেছে। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু
মো কায়কোবাদ এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভর্তি রেজিস্টার দেখে
বলেন, রাত সাড়ে ৮টার সময় আহত পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা
হলেন এ এস আই মুনসুর ও কনস্টেবল রঞ্জন।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদকে বার বার ফোন করে
যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। পরিচয় প্রকাশ না করার
শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বাদ মাগরিব সাদা পোশাকে গোয়ারী
মুক্তির বাজারে যায় ওই দুই পুলিশ সদস্য। এ সময় বাজারে একটি ওষুধের দোকানে
চেয়ারে বসে গল্প করছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক মৌলভী আবু বকর ছিদ্দিকুর রহমান।
পুলিশ সদস্যরা মৌলভীকে দোকানের বাইরে ডেকে এনে তাকে গাঁজা ব্যবসায়ী বলে
অভিযুক্ত করেন। একপর্যায়ে মৌলভীর চেয়ারের নীচ থেকে কিছু গাঁজা বের করে আনা
হয়। এ ঘটনায় বাজারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ সময় পুলিশের সাথে বাজারের
লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে তা পৌঁছায় গণপিটুনিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে
অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বাজারে থাকা জনতাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এ সময় আহত হয়
কমপক্ষে ১০ জন।
এদিকে ভালুকা থানার ওসি তদন্ত হযরত আলী দাবি করেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি
থেকে হয়েছে। পুলিশ একই গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমান নামের অন্য এক গাঁজা
ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। সোর্সের ভুলে ‘ব্যক্তি বিভ্রাট’-এর
ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি যতটা রটেছে তা ঠিক নয়। পুলিশ জনতা হাতাহাতিতে কনস্টেবল
রঞ্জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি বলে জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ