ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ৬নং ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আমান উল্লাহ খান মাখন তার বিরুদ্ধে ভালুকা ডট কম নামক একটি স্থানিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে নৌকার কান্ডারী হতে চায় রাজাকার পুত্র শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভালুকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নাজিম উদ্দিন ও আলহাজ্ব আমান উল্লাহ খান মাখন।
প্রতিবাদ লিপিতে ভালুকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৪ বারের সাবেক কমান্ডার নাজিম উদ্দিন ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ভালুকা ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আমান উল্লাহ খান মাখন বলেন, মরহুম আঃ মোতালেব খান (তারা চেয়ারম্যান) স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে ভালুকা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ৭১ এর মহান মুক্তিযোদ্ধে ভালুকা উপজেলা ভাওয়ালীয়াবাজু যুদ্ধে আফসার বাহিনীর প্রদান মেজর আফসার উদ্দিনের সাথে তিনি ও তার বড়ছেলে মোজাম্মেল হক খান বালা মাষ্টার (যার গেজেট নং-১৯৩৫, মুক্তিবার্তা নং-০১১৫০৬০৭৮৮ সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন। আঃ মোতালেব খান তারা মিয়া মুক্তিযোদ্ধের প্রথম দিকে প্রায় ৩/৪ মাস মুক্তিযুদ্ধ করার পর শারিরিক কারণে তিনি যুদ্ধে যেতে না পারলেও তার পরিবারের বড় সন্তান হিসাবে মোজাম্মেল হক খান বালা জীবন বাজি রেখে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধে আফসার বাহিনীর প্রধান মেজন আফসার উদ্দিন ময়মনসিংহ জেলা জাসদ এর রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এক পর্যায়ে মেজর আফসার উদ্দিন ময়মনসিংহ জেলা জাসদের সভাপতি হন এবং আঃ মোতালেব খান তারা মিয়া কখনো রাজাকার ও স্বাধীনতা রিরোধী ছিলেন না। আঃ মোতালেব খান তারা মিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধো হয়েছে ১৯৭১সালে অথচ রিপোর্টটিতে ১৯৬৮ সালের ঘটনা সামনে এনে একজন মৃত ব্যক্তিকে রাজাকার বানানোর হীন চেষ্টা চালানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রিপোর্ট প্রকাশের আগে তার (মাখনের) কোন মতামত নেয়া হয়নি এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপরে দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রিপোর্ট বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণদিত সংবাদটি প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করেন। রিপোর্টটি মানহানিকর ও মিথ্যা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ