নিউজ ডেস্ক : রূপগঞ্জের সদর ইউনিয়নের ভিংরাবো পূর্বপাড়া এলাকায় গত শুক্রবার রাতে বিয়ের আসর থেকে কনের পলায়নকে কেন্দ্র
করে নিজের ১১ বছরের অপ্রাপ্ত অপর কন্যা শিশুকে বলির পাঠা বানালেন পাষন্ড
পিতা। বিয়ে বর্হিভূত শিশু কন্যাকে বড় মেয়ের জন্য ঠিক করা পাত্রের হাতে তুলে
দিয়েছেন তিনি। বড় মেয়ের পরিবর্তে ছোট মেয়েকে পেয়ে খুশি পাত্রপক্ষ।
আপাতত সংসার করা শিখে পরিপূর্ণ বয়সে পাত্র
এই শিশুকে বিয়ে করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন একটি আংটিই দাম্পত্যের
সাক্ষী বহন করবে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার ভিংরাবো
গ্রামের দিনমজুর ওয়াজউদ্দিনে মেয়ে আরিফা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের
কুমারপাড়া গ্রামের লায়েছ মিয়ার ছেলে সুজনের বিয়ে ঠিক হয়। যথাসময়ে
ব্যান্ডপার্টি নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চরে প্রায় ২’শ জনের বরযাত্রী নিয়ে কনের
বাড়িতে উপস্থিত হয় পাত্রপক্ষ। সমস্ত রীতি সম্পন্ন করার পর বিয়ে পরানোর সময়
পাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাত ৮টা পর্যন্ত বহু খোঁজাখুঁজির পর সকলে
নিশ্চিত হয় কনে পার্শবর্তী জাঙ্গীর গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে প্রান্তর হাত
ধরে পালিয়েছে। ততক্ষণে আনন্দের বিয়ে বাড়ি শোকে পরিণত হয়। অবশেষে রাত ৯টার
দিকে কনের পিতা ওয়াজউদ্দিন নিজের ছোট মেয়ে স্থানীয় জাঙ্গীর সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিথী আক্তার (১১)কে পাত্রের হাতে তুলে
দেন। পাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়াতে কাবিন না হওয়ায় তারা ইসলামী রীতি
অনুসারেও বিয়ের ঝামেলায় যায়নি। একটি আংটি পড়িয়ে খুশি মনে ১১ বছরের শিশুকে
বিয়ে বর্হিভূত কনে হিসেবে খুশি মনেই নিয়ে যায় পাত্রপক্ষ। আপাতত ছেলের
বাড়িতে থেকে সংসারী কাজকর্ম শিখবে, পরে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে পড়ানো হবে
বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিশুবধুকে আংটি পড়িয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শ্বশুর
বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্যসমূহ