ভক্তের মায়ের রান্না খেলেন জেমস

প্রিন্স মোহাম্মদ ও তাঁর মা নাসিমা আকতারের সঙ্গে জেমসদেশ–বিদেশে ছড়িয়ে আছে নগর বাউলখ্যাত গায়ক জেমসের অসংখ্য ভক্ত। তাঁদের মধ্যে প্রিন্স মোহাম্মদ নামের একজনের কীর্তির খবর গত বছরের অক্টোবরে প্রথম আলোর মাধ্যমে পাঠকেরা জেনেছেন। ২০ বছর ধরে জানাশোনা এই ভক্তের বাড়িতে সম্প্রতি বেড়াতে গিয়েছিলেন জেমস। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ভক্তের বাড়িতে তিনি ছিলেন ঘণ্টা খানেক। তাঁর মা নাসিমা আকতারের রান্না খেয়ে দারুণ তৃপ্ত হয়েছে এই নগর বাউল।
প্রিন্স মোহাম্মদের আমন্ত্রণে সম্প্রতি তাঁর এলাকায় একটি কনসার্টে গান করেছেন জেমস। অনুষ্ঠান শুরুর আগে দুপুরের খাবার খেতে তিনি হাজির হন প্রিন্সদের বাড়িতে। ভক্তের এমন কাণ্ড দারুণ উপভোগ করেছেন জেমস। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘তাঁর এলাকার একটি অনুষ্ঠানে আমি গাইব এটা প্রিন্সের অনেক দিনের ইচ্ছে। তাঁর ভালোবাসার পাগলামি আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করেছে। সময়-সুযোগ না হওয়ায় তাঁর এলাকায় যাওয়া হয়নি। এবার আর না করতে পারিনি। তাঁর কারণেই সেখানে যাওয়া। এত চমৎকার ক্রাউড অনেক দিন কনসার্টে দেখা হয়নি। কনসার্টের আগে প্রিন্সের বাড়িতে তাঁর মায়ের হাতের রান্না করা খাবার ছিল দারুণ।’ 
এত দিনে প্রিয় শিল্পীকে নিজের এলাকায় নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত প্রিন্স। সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে তিনি বললেন, ‘গুরু (জেমস) আমার এলাকায় বেড়াতে গেছেন, আমার এখনো বিশ্বাসই হচ্ছে না! আমার মায়ের হাতে রান্না করা খাবার খেয়েছেন তিনি, এটা আমার সারা জীবন মনে থাকবে।’ 
প্রিন্স জানান, ২০০৪ সালে বন্ধুরা মিলে হোসেনপুর উপজেলা সদরের একটি রাস্তার নামকরণ করেছেন প্রিয় শিল্পী জেমসের নামে। নিজ নামের সড়কের ওপর দিয়ে যেতে যেতে ভক্ত প্রিন্সকে জেমস নাকি বলেছেন, ‘কি রে পাগলা, কী দেখাইলি এইটা।’
সড়কের নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বন্ধুরা মিলে রাস্তাটার নামকরণ করেছি। আশপাশের সবাই এ নামেই রোডটি চেনে। যদিও সরকারি নথিতে এটা নেই, কিন্তু আমার মতো এই এলাকার অনেকেরই হৃদয়ের নথিতে আছেন জেমস।’
হোসেনপুরের ঢেঁকিয়া খেলার মাঠে কনসার্টে জেমস উপস্থিত সবার সামনে ভক্তের উদ্দেশে বললেন, ‘আমি এখানে গাইতে এসেছি আমার ভক্তের আমন্ত্রণে। আপনারা সবাই প্রিন্সের জন্য দোয়া করবেন।’

মন্তব্যসমূহ