আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে রাউজানের ১৩ ইউনিয়নে নির্বাচনী ঢামাডোল না থাকলেও নানা কারণে পুরো উপজেলার মানুষের দৃষ্টি এখন কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিকে।
প্রচার প্রচারণার শুরু থেকেই এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাহেদ উদ্দিন চৌধুরী লিংকন (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর (আনারস) সমর্থকদের মধ্যে ঘটছে নানা ঘটনা।
সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজাহেদ উদ্দিন চৌধুরী পোস্টার লাগানোর সময় তার কর্মীদের মারধর করে সিএনজি ট্যাক্সি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
মোজাহেদ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন 'আমার কর্মীরা রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে একটি সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে আমীরপাড়ায় আমার নির্বাচনী পোস্টার লাগাতে গেলে তছলিম উদ্দিনের কর্মী ইফাত, সুমন, তাহের, ওসমান, সালাউদ্দিন আমার কর্মীদের উপর হামলা করে। এসময় তারা আমার কর্মী এমরান হোসেন ও রাসেলকে পিটিয়ে আহত করে এবং নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ট্যাক্সির সামনের কাচ ভাঙচুর ও আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।' এব্যাপারে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেফায়েত উলাহ বলেন 'এই ধরনের একটি অভিযোগ মোবাইল ফোনে পেয়ে থানার অফিসার সাইমুলসহ পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি।'
উলেখ্য যে রাউজানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে মাত্র তিন ইউপিতে। সেগুলো হচ্ছে, কদলপুর, নোয়াপাড়া, বিনাজুরীতে। তবে বিএনপির প্রার্থীরা এলাকায় না থাকায় নোয়াপাড়া, বিনাজুরীতে নির্বাচনী পরিবেশ তেমন একটা সৃষ্টি না হলেও কদলপুরে দুই প্রার্থী (লিংক ও তছলিম)'র সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে চাঙ্গাভাব থাকায় এখানে নির্বাচনী খেলা জমে উঠেছে।
মন্তব্যসমূহ