আজীবন নিষিদ্ধ বরিশাল বুলসের মালিক

bcb meeting
 ক্রিকেটের সব ধরণের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে   রিজওয়ান বিন ফারুককে। সর্বশেষ বিপিএলে বরিশাল বুলসের অন্যতম মালিক ছিলেন রিজওয়ান।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটি হতে জানানো হয় রিজওয়ান বিন ফারুকের কর্মকাণ্ডের কারণে বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বিসিবি।
সর্বশেষ এশিয়া কাপে ফাইনাল ম্যাচের পর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্টের স্বত্ব কেনা টোটাল স্পোর্টসের প্রধান মইনুল হকের ওপর চড়াও হন রিজওয়ান।
বিসিবির ভাইস প্রেসডেন্ট ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান আ জ ম নাসির এ ব্যাপারে বলেন, ”কোনোভাবেই তিনি ক্রিকেটের সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন না। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথেও থাকতে পারবেন না।” বিসিবির ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনো কিছুতেই রিজওয়ানকে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে বিসিবির সাথে রিজওয়ানের প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইন মেনেই সব কিছু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এবার চাঁদা না দেয়ায় নারীকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে পেটালো থানার দালাল, এলাকায় তোলপাড়

00001 ডেস্ক রিপোর্টঃ
চাঁদা না দেয়ায় তিরিশোর্ধ এক নারীকে রাস্তায় পেটাতে পেটাতে মাটিতে শুইয়ে দিল থানার এক দালাল। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের মীমাংসা করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করেছিল শাহজাহান নামের ওই দালাল। বিচারপ্রার্থী শাহানারা বেগম (৩২) সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার রাস্তায় একা পেয়ে বেদম প্রহার করে সে। এতে শাহানারার শরীরে অনেক স্থান ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায়। এই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন এক যুবক। শুক্রবার ভিডিওটি বাংলামেইলের কাছে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহানারা বেগম ৫নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী। শাহানারা বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামী ধনু মিয়া মারা যান ২০০২ সালে। একই সালে রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কোনো কাবিন হয়নি, ঘরোয়াভাবে মৌলবির সামনে কলেমা পড়ে বিয়ে হয়। প্রথম ঘরে তার দুই মেয়ে আছে। দু’জনেরই বিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ঘরে আরেকটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। শাহানারা বেগম বেশ কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি পেয়েছেন। এছাড়াও সুদে টাকা কর্জ দিয়েও উপার্জন করেন। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি প্রথমে স্থানীয় এক উকিলের কাছে গিয়ে বিচ্ছেদের জন্য অ্যাফিডেভিট করতে চান। কিন্তু কাবিন না থাকায় তিনি পৌরসভার মেয়রের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়র বাইরে ছিলেন, ফিরে এসে মীমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এই সুযোগে থানার দালাল শাহজাহানসহ আরো তিনজন তার বাসায় গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মীমাংসার আশ্বাসে এক কাউন্সিলরকে ১০ হাজার টাকা তিনি দিয়েছেনও। গত শনিবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এবারও দিতে অস্বীকৃতি জানান। সোমবার শাহানারা ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ তোলেন। এর আড়াই লাখ টাকা নিজের নামে এবং এক লাখ টাকা মেয়ের নামে। টাকা নিয়ে বাড়ি আসার পথে একা পেয়ে শাহজাহান পেছন থেকে তিনটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। এরপর রাস্তা থেকে তুলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে শাহানারা রাস্তা থেকে ছিটকে সংস্কারাধীন  রাস্তার পাশের গর্তে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক ভিডিও করতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শাহজাহান গাছের ডাল দিয়ে শাহানারা বেগমকে পেটাচ্ছে। এসময় স্থানীয় এক যুবক তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক প্রবীণ এগিয়ে আসেন কিন্তু তার কথাও শোনেনি শাহজাহান। এ ব্যাপারে শাহানারা বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চাঁদা দিতে না চাইলে শাহজাহান আমার ব্যাগ কেড়ে নেয়। ব্যাগে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিল। এছাড়াও সে আমার গলায় থাকা দেড় ভড়ি স্বর্ণের চেন টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। প্রহারের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞানের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। গর্ত থেকে তুলে আমাকে পাশের একটি বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রড দিয়ে মারে শাহজাহান। আমার নাকফুল কেড়ে নেয়। কয়েকটা থাপ্পর দিয়ে আমার বুকে লাথি দেয়। এসময় স্থানীয় লোকরা আমাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকেরা আসলে সে আমাকে অর্ধেক চেন ফেরত দেয়। পরে একটি রিকশায় করে আমাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার শাহানারা থানায় মামলা করতে গেছেন। এ বিষয়ে পৌরসভা মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
- See more at: http://amarbangladesh-online.com/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95/#sthash.nR00siU9.dpuf

এবার চাঁদা না দেয়ায় নারীকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে পেটালো থানার দালাল, এলাকায় তোলপাড়

00001 ডেস্ক রিপোর্টঃ
চাঁদা না দেয়ায় তিরিশোর্ধ এক নারীকে রাস্তায় পেটাতে পেটাতে মাটিতে শুইয়ে দিল থানার এক দালাল। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের মীমাংসা করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করেছিল শাহজাহান নামের ওই দালাল। বিচারপ্রার্থী শাহানারা বেগম (৩২) সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার রাস্তায় একা পেয়ে বেদম প্রহার করে সে। এতে শাহানারার শরীরে অনেক স্থান ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায়। এই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন এক যুবক। শুক্রবার ভিডিওটি বাংলামেইলের কাছে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহানারা বেগম ৫নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী। শাহানারা বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামী ধনু মিয়া মারা যান ২০০২ সালে। একই সালে রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কোনো কাবিন হয়নি, ঘরোয়াভাবে মৌলবির সামনে কলেমা পড়ে বিয়ে হয়। প্রথম ঘরে তার দুই মেয়ে আছে। দু’জনেরই বিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ঘরে আরেকটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। শাহানারা বেগম বেশ কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি পেয়েছেন। এছাড়াও সুদে টাকা কর্জ দিয়েও উপার্জন করেন। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি প্রথমে স্থানীয় এক উকিলের কাছে গিয়ে বিচ্ছেদের জন্য অ্যাফিডেভিট করতে চান। কিন্তু কাবিন না থাকায় তিনি পৌরসভার মেয়রের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়র বাইরে ছিলেন, ফিরে এসে মীমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এই সুযোগে থানার দালাল শাহজাহানসহ আরো তিনজন তার বাসায় গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মীমাংসার আশ্বাসে এক কাউন্সিলরকে ১০ হাজার টাকা তিনি দিয়েছেনও। গত শনিবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এবারও দিতে অস্বীকৃতি জানান। সোমবার শাহানারা ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ তোলেন। এর আড়াই লাখ টাকা নিজের নামে এবং এক লাখ টাকা মেয়ের নামে। টাকা নিয়ে বাড়ি আসার পথে একা পেয়ে শাহজাহান পেছন থেকে তিনটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। এরপর রাস্তা থেকে তুলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে শাহানারা রাস্তা থেকে ছিটকে সংস্কারাধীন  রাস্তার পাশের গর্তে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক ভিডিও করতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শাহজাহান গাছের ডাল দিয়ে শাহানারা বেগমকে পেটাচ্ছে। এসময় স্থানীয় এক যুবক তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক প্রবীণ এগিয়ে আসেন কিন্তু তার কথাও শোনেনি শাহজাহান। এ ব্যাপারে শাহানারা বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চাঁদা দিতে না চাইলে শাহজাহান আমার ব্যাগ কেড়ে নেয়। ব্যাগে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিল। এছাড়াও সে আমার গলায় থাকা দেড় ভড়ি স্বর্ণের চেন টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। প্রহারের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞানের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। গর্ত থেকে তুলে আমাকে পাশের একটি বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রড দিয়ে মারে শাহজাহান। আমার নাকফুল কেড়ে নেয়। কয়েকটা থাপ্পর দিয়ে আমার বুকে লাথি দেয়। এসময় স্থানীয় লোকরা আমাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকেরা আসলে সে আমাকে অর্ধেক চেন ফেরত দেয়। পরে একটি রিকশায় করে আমাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার শাহানারা থানায় মামলা করতে গেছেন। এ বিষয়ে পৌরসভা মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
- See more at: http://amarbangladesh-online.com/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95/#sthash.nR00siU9.dpuf

মন্তব্যসমূহ