মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥ ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রী কলেজে একদশ শ্রেনী ২য় বর্ষের পরিার্থী মিমি চিরান (১৬) ৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে কলেজ স্টাডি কে গলায় ফাঁসি দিয়ে আ্যহত্যা করেছে বলে পুলিশ সুত্র জানায়। মিমি চিরানের ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ পুলিশ তার ভাই, আত্বীয় স্বজন, কলেজ কতৃপ, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামান। পরে মিমি চিরানের মৃত দেহের সুরত হাল সম্পন্ন করেন ময়মনসিংহ কোতুয়ালী মডেল থানার এ এস আই নিরুপম। সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরন করেন। এ এস আই নিরুপম জানায়, মিমি চিরানের হাতের ঘড়ির বেল্টের নিচে একটি সুইসাইট নোট আটকানো ছিল। উক্ত সুইসাইট নোটে মিমি লিখে গেছে, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমি নিজেই। কারন প্রকৃতির সাথে আমি নিজকে কোন ভাবেই মিলিয়ে নিতে পারছিলাম না। সব কিছু যেন আমার গলা টিপে ধরছিল। আর এতে আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই আমি এসব কিছুর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে প্রকৃতিকে ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি”। পুলিশ মিমি চিরানের পড়ার টেবিল থেকে একটি ডাইরি উদ্বার করে। ডাইরীটি সাদা কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে কসটেপ দিয়ে আটকানো ছিল। ডাইরীর উপরে “শুধুমাত্র তার পরিবারের জন্য” এই কথাটি লিখা ছিল। ডাইরীটি পুলিশ জব্দ করে উপস্থিত মৃত ছাত্রীর ভাই, কলেজ কতৃপ ও সাংবাদিকদের সামনে খোলে। তাতে মৃত মিমি চিরান মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নয় একথাটি লিখে তার ভাই বোন ও মায়ের উদ্যেশ্যে কয়েকটি চিঠি লিখে যায় এবং এক জায়গায় জনৈক ব্যাক্তি উদ্যেশ্যে তার সাথে উক্ত ব্যাক্তির সম্পর্ক সম্বব নয় বিধায় তাকে মা করতে লিখে। মিমি আরো লিখে টেলিফোন থাকলে তার চলে যাওয়ার কথাটি জানিয়ে যেত। উক্ত ব্যাক্তিকে কষ্ট না পেতে অনুরোধ করেন। কলেজ অধ্য গোলাম সরওয়ার, অন্যান্য শিক ও হোষ্টেল সুপারের কাছ থেকে জানাযায়, মিমি চিরান অত্যান্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল এবং কলেজের প্রত্যেকটি পরিায় সে কলেজ কতৃপরে কাছ থেকে পুরস্কার পেত। সে অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল এবং গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করত। এই ঘটনায় তারা হতভম্ব হয়ে পরেছে। মিমি ৩ ভাই ৫ বোনের মধ্যে ৭ম। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ হালুয়াঘাটে তার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ