এইচ এম মোমিন তালুকদার-ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহর ত্রিশালে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের জোড়প্রচারণা। প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই ভোটরদের মনজয় করতে প্রার্থীরা চালাচ্ছে নানা মুখী কৌশল। দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারণায় পিছিয়ে নেই সতন্ত্র প্রার্থীরা। ত্রিশালের ধানীখলা ও কাঠাল ২ ইউনিয়ন ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিভিন্ন তথ্যাদি। ত্রিশালের ১ নং ধানীখলা ইউনিয়নের কয়েকজন ভোটারদের সঙ্গে কথা বল্লে তারা জানায় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবি ও বি.এন.পি থেকে ইউনিয়ন বি.এন.পির দপ্তর সম্পাদক এবং ৭ নং ওয়ার্ড বি.এন.পির সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক। দলীয় প্রতীক ও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এই ২ প্রার্থী মাঠে থাকলেও প্রভাব পড়ছেনা দলীয় প্রতীকের দিকে। ধানীখলার মানুষ দলীয় প্রতীকের অনিহা প্রকাশ করে বলেন ইউনিয়নের উন্নয়নে ও নাগরিক সেবায় যাকে সবসময় কাছে পাওয়া যাবে তারা সেই প্রার্থীকেই ভোটে নির্বাচিত করবেন। সেই হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী আসাদুল্লাহ আসাদকে বাছায় করে নিয়েছেন সাধারণ জনগন। বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাধারন মানুষের সাথে বন্ধু সুলভ আচরনে সবাইকে সমান অধিকার দিয়ে অতীতে কাছে থাকার কারনে আসন্ন নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অপর দিকে ত্রিশালের ৩ নং কাঠালি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান কোফিল উদ্দিনের মৃত্যুতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রয়াত এই চেয়ারম্যানের স্ত্রী তানজিনা বেগম কে এবং বি.এন.পির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন যুব দল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী। ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় ইউ.আ.লীগে সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে দলীয় ভাবে তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ২ ভাগে বিভক্ত। ইউনিয়ন যুব লীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় কালীরবাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আবুল হোসেন আওয়ামী লীগের সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করায় আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আবুল হোসেনের পক্ষে নিরব সমর্থনে থাকায় সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি রয়েছে আলোচনার শীর্ষে। জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নের প্রত্যেকটা জনবহুল পয়েন্টেই ভোটারদের মধ্যে তার আলোচনাটাই প্রাধান্য পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মতে সুষ্ঠ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনপ্রিয় এই দুই সতন্ত্র প্রার্থী বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ