গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী নয়নকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঝর্ণা আক্তার শেরপুর সদরের মোচারের চর এলাকার আইন উদ্দিনের মেয়ে।
টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক মো. জোবায়েরুল ইসলাম জানান, ১০ মাস আগে ঝর্ণার সঙ্গে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার শ্যামলীপাড়া এলাকার গফুর মাস্টারের ছেলে নয়নের বিয়ে হয়। পরে একমাস আগে তারা টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় উঠেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে মারধর করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ঝর্ণা। পরে তাকে প্রথমে গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান ঝর্ণা।
নিহতের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন জানান, বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই নয়ন শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকার জন্য ঝর্ণাকে মারধর শুরু করে। পরে নয়নকে কয়েক হাজার টাকা দেয়া হয়। তারপরও আরো টাকার জন্য ঝর্ণাকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর মারধরে ঝর্ণার মৃত্যু হয়েছে।
ঘাতক স্বামীর ফাঁসির দাবি করেন স্বজন এলাকাবাসী ও স্থানীয় কাউন্সিলর। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মন্তব্যসমূহ