জিপিএ-৫ পাওয়া অনিক ও হৃদয়কে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম অনিক ও শাহরিয়ার হৃদয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা পেয়ে অনিক ও হৃদয় আবারো অভিভূত ও কৃতজ্ঞ। এর আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের সহিংস জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে বোমা হামলায় আহত এই দুই ছাত্র প্রধানমন্ত্রীর তদারকিতে চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠে এবং জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়। শেখ হাসিনার সহৃদয় চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনিক ও হৃদয় জিপিএ-৫ লাভ করে। তাদের এই কৃতিত্বের সংবাদ শুনে আনন্দে আপ্লুত হয়ে অনিক ও হৃদয়কে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে আবেগাপ্লুত কৃতি এই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই সঙ্গে তারা মহান আল্লাহর দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ ও সফল জীবন কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন আজ এ কথা জানান। অনিক ও হৃদয় হচ্ছে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিতে বিএনপি জামায়াতের অবরোধ ও হরতাল চলাকালে পেট্রলবোমার সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন অনিক ও হৃদয়। ওই সময় তারা ছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী। কোচিং থেকে বাসায় ফেরার পথে শিকার হন পেট্রলবোমার। চোখে মাথায় মারাত্মক আঘাত পায় অনিক ও হৃদয়। পুরো পরিবার এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। একদিকে সামনে এসএসসি পরীক্ষা, অন্যদিকে চিকিৎসার ব্যয়ভার । এ সময় এ দুটি পরিবারের মধ্যে আলোকবর্তিকা হয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জামায়াত বিএনপির সহিংসতার শিকার আরো হাজার হাজার অসহায় পরিবারের মত তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভারও নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের চিকিৎসার পুরো বিষয়টি তদারকি করেন তার কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার লেনিন । তিনি জানান, প্রথমে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এবং এরপর মাদ্রাজের শঙ্কর নেত্রালয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসার জন্য পরপর তিনবার মাদ্রাজের শঙ্কর নেত্রালয়ে পাঠান প্রধানমন্ত্রী । আহত থাকার কারণে ২০১৫ সালে আর তাদের এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। এইবার তারা দুজনই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন এবং জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। আজ সকালে হৃদয়, অনিক এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জুলফিকার লেনিন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর খুশি হওয়ার সংবাদ ও শুভেচ্ছা বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দেন। তারাও লেনিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে তাদের কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্যসমূহ