ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পরামর্শক শাখার দুই কর্মকর্তা পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক প্রায় ৩ বছর পূর্বে বরখাস্ত হলেও রহস্যজনক কারণে বর্তমানে স্বপদে কর্মরত রয়েছেন।
বিভিন্ন সত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বৈদুতিক উপদেষ্ঠা কারিগরি পরামর্শক বিভাগের মেসার্স কনসোটিয়াম অব কেপি এন্ড এভিই এর সুপারভিশন প্রকৌশলী সমরেশ চন্দ্র সরকার ও পরিদর্শক মোঃ আব্দুুল হামিদকে পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড গত ২৭/১২/২০১২ তারিখ বরখাস্ত করেন। যা ০১/০৭/২০১৩ কার্য্যকর হওয়ার কথা।
কিন্ত পল্লীবিদ্যুত বোর্ডের বরখাস্তের চিঠিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে রহস্যজনক কারণে ওই দুই কর্মকর্তা তাদের স্বপদে বহাল তবিয়ত অদ্যাবধি কর্মরত আছেন এবং নিয়মিত অফিসের উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে যথারীতি বেতন বোনাস উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
সরেজমিন গত মঙ্গলবার অফিস চলাকালী সময়ে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ভালুকা অফিসের তৃতীয় তলায় বৈদুতিক উপদেষ্ঠা কারিগরি পরামর্শক বিভাগের গিয়ে দেখা যায়, প্রকৌশলী সমরেশ চন্দ্র সরকার অফিসের কম্পিউটারে কাজ করছেন।
এসময় সাংবাদিকদের অফিসে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে পরিদর্শক মোঃ আব্দুুল হামিদ সটকে পরেন। অভিযুক্ত প্রকৌশলী সমরেশ চন্দ্র সরকার তার বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার বেতনাধি দেয়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ভাল জানেন। তবে বার বার মোবাইলে চেষ্টা করেও অপর অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ তার মোবাইল রিসিপ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। আবাসিক প্রকৌশলী শামছুল আলম জানান, তিনি এই অফিসে নতুন যোগদান করেছেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ময়মনসিংহ পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ এর পরামর্শক শাখা মেসার্স কনসোটিয়াম অব কেপি এন্ড এভিই’র টিম লিডার আব্দুর রহমান বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বরখাস্তকারীরা তাদের সম্মতিতেই অফিসে কাজ করছেন এবং উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে বেতনাধি উত্তোলন করছেন।
ময়মনসিংহ পল্লীবিদুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো: জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে পরামর্শক শাখা মেসার্স কনসোটিয়াম অব কেপি এন্ড এভিই’র টিম লিডার আব্দুর রহমানকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ