ইসলামী মাহফিল থেকে ফেরার পথে কোপানো হলো মাওলানাকে

মাহফিল থেকে ফেরার পথে কথিত ‘ডাকাত’ দলের কবলে পড়লেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কোরআন আল্লামা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী। স্থানীয় সংবাদকর্মী আবছার কবির আকাশের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, টেকনাফের খারাংখালী থেকে মাহফিল শেষ করে কক্সবাজার ফেরার পথে নয়াপাড়া এলাকায় তিনি ডাতাদের কবলে পড়েন। ডাকাতদল তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ব্যবহারের গাড়ীটিসহ তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজারে পৌঁছে দিয়েছে। তবে ঘটনাটি আদৌ ডাকাতি কিনা তা সন্দেহের চোখে দেখছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি অনেকেই পরিকল্পিত বলে মনে করছেন। স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যে স্থানে ‘ডাকাতি’র কথা বলা হচ্ছে অতীতে কোন সময় সেখানে এরকম ঘটনার নজির নেই। তাদের মতে, আগামী ২২ মার্চ টেকনাফে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। মাহফিলকে যারা নির্বাচনে নিজেদের জন্য প্রতিবন্ধক মনে করছেন তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। ঘটনা খতিয়ে দেখা দরকার মনে করছেন স্থানীয়রা। আল্লামা আনসারীর সফর সঙ্গি ডা. মোহাম্মদ আমিন বলেন, মুখোশ পরিহিত একদল স্বশস্ত্র যুবক আমাদের ওপর হামলে পড়ে। দেখতে এদের পেশাদার ডাকাত মনে হয়নি। তিনি বলেন, ভীতি সঞ্চার করতে তারা প্রথমে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এরপর আমাদের বডি চার্স করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার শিকার আল্লামা আনসারী বলেন, আমি নিজ পরিচয় দেয়ার পরও তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। ইতিপূর্বে অনেকবার ডাকাতির কবলে পড়লেও পরিচয় দিলে কোন সময় আমার সাথে খারাপ আচরণ করেনি ডাকাতদল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইক্যংয়ের এক বাসিন্দা বলেন, আগামী ২২ মার্চ টেকনাফে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাফসির মাহফিলসমূহ অনেকের জন্য বিজয়ের প্রতিবন্ধক মনে করা হচ্ছে। যারাই ইসলামী জলসাকে নিজেদের জন্য প্রতিকূল/প্রতিবন্ধক মনে করছেন, তারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত।

মন্তব্যসমূহ