ভালুকায় নৌকা ও ধানের শীষ কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ,আহত১০

ভালুকায় ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের প্রচারণাকালে আ’লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপির ৩৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিএনপির দুইজনকে গ্রেফতার করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ১১ নম্বর রাজৈ ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় নির্বাচনী প্রচারণাকালে ১১ নম্বর রাজৈ ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার উদ্দিনের (ধানের শীষ) সমর্থকদের সঙ্গে আ’লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম বাদশার (নৌকা) কর্মীদের প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষেসংঘর্ষ বেঁধে যায়।এতে বিএনপির সমর্থক ও প্রার্থীর ভাই আসাদুজ্জামান আসাদ (৫৫), সাইফুল ইসলাম নারু (৩৫), সেখ সাদীর মিয়া (৫০), রাকিব (২৫) ও রনি (১৮); অপরদিকে আ’লীগের সমর্থক ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান খান  মাসুদ (২৫), শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মণ্ডল (৩০) ও মো: লিয়াকত আলীসহ (৪৫)অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের প্রথমেভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ব্যাপারে বিএনপিপ্রার্থী আনোয়ার উদ্দিন আহমেদ জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে নৌকাপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা লাঠি নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মহরা শুরু করে এবংযেখানে আমার কর্মীদের পেয়ে তাদেরকে লাঠিপেটা করে।অপরদিকে আ’লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম বাদশা জানান, মধ্যরাজৈ নির্বাচনী সভা শেষকরে ফেরার পথে ধানের শীষের প্রার্থীর লোকজন আমার গাড়িতে প্রথমহামলা করে। পরে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের উপরহামলা করা হয়।এ ঘটনায় মাসুদ খানবাদী হয়ে শুক্রবারসকালে বিএনপি প্রার্থীর তিন ভাইসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা (নম্বর-২৮) দায়ের করেছেন।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধানের শীষপ্রার্থীর পক্ষে থানায় কোন মামলা হয়নি। এ ঘটনায় ধানের শীষ প্রার্থীর কর্মী সাইফুল ইসলাম নারু, সেখ সাদীর মিয়া, রাকিব ও রনিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।ভালুকা মডেল থানারওসি মামুন অর রশিদজানান, এক পক্ষের মামলা হয়েছে এবং চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরপক্ষ অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ