জাতীয় পার্টির (জাপা) সব পদ থেকেই পদত্যাগ করেছেন চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা)। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
সোহেল রানা নিজেই বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে পদত্যাগপত্রে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। সোহেল রানা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এছাড়া গত মার্চে নবগঠিত জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। তার হাত ধরেই ওই সংগঠনে অনেক তারকা যোগ দেয়।
এদিকে জাতীয় পার্টির সম্মেলনে আজ বিভেদ ভুলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্ন উপস্থিত হলেও দেখা যায়নি প্রেসিডিয়ামি সদস্য সোহেল রানাকে। তখনই এ নিয়ে গুঞ্জন উঠে।
পদত্যাগের বিষয়ে সোহেল রানা বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির সকল পদ থেকেই পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগপত্র পার্টির চেয়ারম্যানের কাছেও পাঠানো হয়েছে। এখন তা গ্রহণ করা আর না করা তাদের বিষয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কি কারণে আমি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি সে বিষয় এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।’
পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘গত মঙ্গলবার আমি পার্টির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়ে প্রথমে এসএমএস দেই। বুধবারও আমি আরেকটি এসএমএস দেই। তখন চেয়ারম্যান ফিরতি এসএমএস দেন। কিন্তু সেই এসএমএসে কি আছে তা এখন বলতে চাই না। শুধু এটুকু জানাই, তিনি আমাকে পার্টিতে থাকতে বলেছেন। এরপর বৃহস্পতিবার আমি চেয়ারম্যানের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায়ের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাই। দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদরকেও আমার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছি।’
সোহেল রানা বলেন, ‘এরপরও গত বৃহস্পতিবার দলের প্রেসিডিয়াম সভায় অংশ নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান আমাকে আহ্বান জানান। তখন তাকে বলি- আমি যেহেতু প্রেসিডিয়াম পদ থেকে পদত্যাগ করেছি তাই ওই বৈঠকে অংশ নিতে পারি না। কারণ আমি আর ওই পদে নেই। তারপরও পার্টির চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন- তুমি আসো। কিন্তু আমি যাইনি।’
সোহেল রানার পদত্যাগের বিষয়ে সুনীল শুভ রায় বাংলামেইলকে বলেন, ‘ওনি (সোহেল রানা) পদত্যাগ করেছেন কি না সে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার কাছে ওনার কোনো পদত্যাগপত্র কেউ দেয়নি। তাছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়তো তিনি পার্টি থেকে পদত্যাগ করতেও পারেন। কিন্তু সেটি আমার জানা নেই।’
সোহেল রানার পদত্যাগের বিষয়ে সুনীল শুভ রায় বাংলামেইলকে বলেন, ‘ওনি (সোহেল রানা) পদত্যাগ করেছেন কি না সে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার কাছে ওনার কোনো পদত্যাগপত্র কেউ দেয়নি। তাছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়তো তিনি পার্টি থেকে পদত্যাগ করতেও পারেন। কিন্তু সেটি আমার জানা নেই।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সোহেল রানা। তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অবশ্য সোহেল রানা ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ছাত্রলীগের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ