স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ সদরে চরভবানীপুর জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন আয়েশা খাতুন (২৬), যৌতুকের দাবীতে দাদী রোকেয়া, ফুফু হালিমা, শহীদুল, চাচা এবং স্বামী মো: এমদাদুল হক যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধোর করত। উল্লেখ্য এমদাদুল হক জুয়া খেলায় সর্বশান্ত হয়ে স্ত্রীকে অমানষিকভাবে নির্যাতন করত। তারই খেসারতে বলির পাঠা হতে হয়েছে হালুয়াঘাট নাগলা করপাড়া বিবাহিত মেয়ে আয়েশাকে মুখে বিষ ঢেলে এবং মুখে, পিঠে সর্বাঙ্গ শরীরে আঘাত করে মৃত্যুর অবস্থার কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এমদাদুলের পরিবাররা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় হাসপাতালে রেখে স্বামীর লোকজন হাসপাতাল থেকে চম্পট দেয়। মেয়ের বড় ভাই লিটন ড্রাইভার এবং মেয়ের বড় বোন রাবেয়া খাতুন বোনকে বাচাতে এগিয়ে আসলে আর বাচাতে পারলো না। লাশ হয়ে ফিরতে হলো মেয়ের পিত্রালয়ে। উল্লেখ্য আজ থেকে ১৫ বছর আগে দাম্পত্য জীবন শুরু হলে তাদের কোলজুড়ে দুটি সন্তান আসে। বড় মেয়ের নাম তাকিয়া আক্তার (১৩), আব্দুল্লাহ হোসাইন আবীর (৫)। তার বড় মেয়ে বলেন বাবা প্রায়ই মাকে অকথ্যভাবে নির্যাতন করত। নির্যাতনের যন্ত্রনা সইতে না পেয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এই ডায়েরীকালে মাকে ষড়যন্ত্রভাবে আমার বাবা, দাদী রোকেয়া, ফুফু হালিমা, শহীদুল, চাচা সবাই মিলে হত্যা করে। কোতোয়ালী মডেল থানায় মেয়ের বড় বোন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে মটর কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এখতিয়ার আহাম্মেদ রনি হত্যাকারীদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
মন্তব্যসমূহ