ঢাকায় ফিরে আসা। নেই প্রকৃতির সাথে কথা বলার পারিপার্শ্বিকতা। ফিরে এসেই যান্ত্রিকতা। এর উপর আছে ভ্যাপসা গরমের শাস্তি। রোদের উপর হাত নেই, না হলে চেপে ধরে বলতাম, একটু বৃষ্টি হও। অফিসে যেতেই জীবন বের হয়ে যায়। অতি গরমে খুব সকালে আজো উঠে পড়েছি। চায়ের কাপ হাতে নিয়েই পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছি।
দুদকের একটা রিপোর্ট পড়ছি। মনে মনে হাসছি। দুদুক কে কেন নখদন্তহীন কমিশন বলা হয়ে থাকে- তা কিছুটা গভীরে গেলেই টের পাওয়া যায়। এই সরকারের মেয়াদে কত ব্যবসায়ী যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেল- খবর নেই আমাদের দুদকের। বরং ছা পোষাদের আজকাল ব্যাংক একাউন্টের খবর নেয় দুদক। দেশে দুই শ্রেণির ব্যবসায়ী আছেন। যারা দুটি বিশেষ দলের সাথে নানা কায়দায় থেকে গড়ে তোলে সম্পদের পাহাড়।
এই সকল ব্যবসায়ীরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব এমন পর্যায়ে খাটায় যে- তাঁদের স্বার্থে আঘাত এলে মধ্যমসারির রাজনৈতিক নেতাদের উপরেও খড়গ নেমে আসে। যেমনটি সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির ক্ষেত্রে হয়েছিল। যাই হোক, এমন কিছু ভাবতেই ভাবতেই ঘরের এক কোনে থাকা লাইব্রেরি কক্ষে কলম নিয়ে বসে পড়লাম।
সেদিন দেখা হলো, চারদলীয় ঐক্য জোটের মেয়াদে ক্রীড়াঙ্গনে দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকা এক বিএনপি প্রভাবিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে। মনে হচ্ছে, কোথায় যেন ঘাটতি আছে তাঁর। কথা বার্তাতেও ক্ষমতাসীন দলের সাথে আপস আপস করা ভাবমূর্তি। নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে কোমল পলিসিতে থাকা!
কোমল শুধু ব্যবসার স্বার্থে না, তাঁরা কোমল থাকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতিও। যেন এই একমাত্র জায়গা- যেখানে তাঁদের সব আপোস সীমাবদ্ধ। নারী প্রসঙ্গ কেন এলো? তাঁর সাথে আলাপচারিতার এক ফাঁকেই এলো মুঠোফোনে কল। খুব তাড়াহুড়া করে আমার সাথে দায়সারা আলাপ সেরে বেরিয়ে পড়লেন! জানি না তিনি কিসের আকর্ষণে অমন করে বেরুলেন! তবে কথা শুনেই বুঝেছলাম, অপর প্রান্তে থাকা মানবীর প্রতি তীব্র আসক্তিতে তিনি অফিস কক্ষ ছাড়লেন। আমাদের দেশে আজকাল ব্যবসায়ীদের বিলাসীতার অস্ত্র হচ্ছে নারী ও মদ। সন্ধ্যার পরেই তাঁদের আসল চরিত্র বের হয়ে পড়ে। ইদানিং দিনের বেলাতেও কারো ফ্ল্যাটে চলে যেতে তাঁরা স্বস্তিতে থাকে।
এই ফ্ল্যাট প্রসঙ্গ আসাতেই মনে পড়ে গেলো বিএনপি ঘরানার রাজনীতিক এম এ এইচ সেলিমকে- যিনি সিলভার সেলিম নামে পরিচিত।
ইদানিং জননেতাডটনেট এ যে সকল লেখাগুলো যাচ্ছে তাঁর আসল উদ্দেশ্য হলো, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সরকারী- বেসরকারী বিভিন্ন সেবা খাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়ে থাকে যা একদিকে যেমন সাধারণ পাঠককে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা সম্পর্কে অবহিত করে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে প্রতিকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে। এসব লেখা সমুহ সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছে বলে অনুমিত হয়। কেও এ ধরনের প্রতিবেদন ভিত্তিক মুক্তমত গুলোকে আরো স্বচ্ছ ও সুবিন্যস্ত আঙ্গিকে প্রত্যাশা করার অনুরোধ জানাচ্ছে। কেও বলছে এসব হল মিথ্যা কাহিনী কিংবা উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত।
চলুন, সিলভার সেলিমের অযাচিত কিছু নিয়ে আজকের মতো শেষ করি।
দেশের জনপ্রিয় দল বিএনপির রাজনৈতিক পরিক্রমায় আপাত ভাবে দেখা যাচ্ছে না সমালোচিত ব্যবসায়ী নেতা এম এইচ সেলিম (সিলভার সেলিম)কে ? শোনা যায়, জাতীয় নির্বাচন আসলেই তিনি রাজনীতিতে সোচ্চার হন। বাগেরহাট জেলার এই গডফাদার আঙ্গিকের রাজনীতিক ব্যক্তিজীবনেও খুব বেশী সুখী নন।
দেশের জনপ্রিয় নায়ক আলমগীর কন্যা শিল্পী আখি আলমগীরের সঙ্গে লিভ টুগেদার করে আলোচিত হয়ে পড়েছিলেন এই সিলভার সেলিম। জীবনে একের পর এক নারী আসলেও সুখ পান নি বিএনপির নেতা এম এইচ সেলিম ওরফে ‘সিলভার সেলিম’। রাজধানীর গুলশানস্থ ‘সিলভার টাওয়ার’ এর মালিক সিলভার সেলিম আদম ব্যবসায় নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করালেও কোনো নারীকে জীবন সঙ্গী করতে সফল হতে পারেন নি। পোষাক পরিবর্তনের মতো অহরহ অসংখ্য ললনার সাথে লিভ টুগেদার করলেও তাঁর জীবনে কেও টেকেনি। ২০১১ সালে শিল্পী আখি আলমগীরের সঙ্গে দহরম মহরম এর গোড়াপত্তন করে সদ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে, আঁখি তাঁর স্বার্থ উদ্ধার নিশ্চিত করে সরে গেছে সিলভার সেলিমের জীবন থেকে। আঁখি এখন নিজের আগের ঘরের সন্তান নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করছেন।
বাগেরহাটের প্রত্যন্ত মেহেন্দীকুঞ্জের এক সময়ের হত দরিদ্র সেলিম এর মুলত উত্থান হয় ১৯৯৮ সাল থেকে। বাগেরহাট জেলায় ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টানা ১৮ বছর জেলা সভাপতির নেতৃত্ব দিতেন অ্যাডভোকেট মো. মোজাফ্ফর হোসেন। তিনি দল থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জেলা বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ১৯৯৮ সালে এম এ এইচ সেলিম বাগেরহাট জেলা বিএনপির হাল ধরেন।এ সময় আকস্মিক ভাবে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিতেও সফল হন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসন থেকে এম এ এইচ সেলিম বিপুল ভোটের ব্যবধানে শেখ হেলাল উদ্দিনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১/১১ সরকারের সময় দুর্নীতির মামলায় তিনি কারাগারে যান।
সূত্রমতে, ১৯৫৫ সালের ১৩ মার্চ এম এইচ সেলিম জন্মগ্রহণ করেন।পিতা বেলায়েত হোসেন ছিলেন কৃষক। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে এম পি হয়েই তিনি আদম ব্যবসার প্রসারে মনোযোগি হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা মার্কেট থেকে তুলে ফেলেন। এর ধারাবাহিকতায় হাওয়া ভবনের সু নজরে এসে দলের পৃষ্ঠপোষক হয়ে যান। নিয়মিত দল কে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে তিনি তারেক রহমানের সু নজরে আসেন। এরপর ইতিহাস।নিজের ব্যবসার প্রসারের পাশাপাশি ‘চ্যানেল ওয়ান’ এর বড় অংশের শেয়ার হোল্ডার হন তিনি। ১/১১ সরকারের মেয়াদে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি কারাগারে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেলেও সরব রাজনীতিতে তাকে দেখা না গেলেও এখনো অব্দি দলের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বহাল রয়েছেন। নিজের প্রথম স্ত্রী তাঁর জীবনে না থাকলেও এবং বড় বড় সন্তান সন্ততি থাকলেও অযুত নারী সঙ্গের পর সর্বশেষ তিনি প্রায় ২ বছরের অধিক জীবন কাটান আলোচিত সঙ্গীত শিল্পী চিত্র নায়ক আলমগীর তনয়া আঁখি আলমগীরের সঙ্গে। তার জীবনে অসংখ্য নারী সরবরাহ কারীর সুত্র অনুযায়ী ‘বার্ডস আই’ দেখতে পায়, ২০১১ সালের প্রথম ভাগে আঁখি আলমগীরের সাথে প্রথমে এক রাতের জন্য কাটানোর তাগিদে দেখা হলেও আঁখি কে প্রায় ২ বছর নানান উপঢৌকনের পসার দিয়ে সিলভার সেলিম আটকিয়ে রাখেন।
শেষ খবর ২০১৩ সালের শেষার্ধে নগদ ১ কোটি টাকা ও একটি প্রিমিও গাড়ি উপহার হিসাবে নিয়ে আঁখিও তার জীবন থেকে সরে যান। যদিও প্রচার মাধ্যমে আঁখি স্বামী হিসাবে সে কেবল ‘রুশো’ নামক এক তরুনের কথা বলে এসেছে। আঁখি আলমগীরের সঙ্গে সেক্স মিশন শেষ করার পর সিলভার সেলিম নিজের জন্য আরেকটি বিয়ের অভিপ্রায় ঘটক পর্যন্ত পৌঁছায় ।অবসরপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্ম কর্তা শুভাকাঙ্খি হিসাবে সেই বিয়ের ঘটকালী করলেও সেলিম এ যাত্রাতেও ব্যর্থ হন। নিরুপায় হয়ে সিলভার সেলিমের এখনো জীবন, ভাড়া করা আলোচিত নারী রক্ষিতা দিয়েই পার হচ্ছে।
কিন্তু সেলিমদের কথা এখন মিডিয়া অঙ্গনে নেই। কারণ, ক্ষমতার চেয়ারে তিনি এখন নেই। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাতে বিএনপিকে নিয়ে মাতেন না। দেখাও যায় না তাঁকে। কিন্তু দল পরিচালনার জন্য ফান্ড দেয়ার অভ্যাস রয়েছে। একটু আশায়। আবার যদি দোর্দণ্ড প্রতাপে আরেকটি হাওয়া ভবনের কর্ণধার হওয়া যায়! হ্যাঁ, সে ভবনেই নাচুক অশরীরী নর্তকী- যেখানে কারো কিছু বলার থাকবে না।
বিঃ দ্রঃ চায়ের কাপে ঝড় কোনো ধরনের সংবাদ পরিবেশন নয়, এটি জননেতার নিয়মিত আইটেম- যা বাস্তব জীবনের প্রতিদিনের আলেখ্য নিয়ে প্রকাশিত মুক্ত মত।
মন্তব্যসমূহ