নর্থ সাউথের শিক্ষক হাসনাতের বাসায় তল্লাশি!

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার হওয়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিমের বনানীর বাসায় গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশি চালানোর খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে তার বনানীর বাসায় এ তল্লাশি চালানো হয়।

এদিকে, হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসনাত করিমকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, হাসনাত করিম এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রীও আছেন। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে হাসনাত করিমের বাবা রেজাউল করিম জানান, হামলার সময় তার ছেলে ও স্ত্রী-সন্তান ওই রেস্টুরেন্টে ছিলো। শনিবার সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর হাসনাতকে ঢাকা সিএমইএইচ হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
হাসনাত করিমের চাচা আনোয়ার করিম জানান, সেদিন হাসনাতকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। শনিবার তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। রোববার কোনো যোগাযোগ হয়নি। তিনি এখনো ডিবি কার্যালয়েই আছে।

জিম্মি ঘটনা চলাকালীন সময়ে পাশের ভবন থেকে এর কিছু অংশ ভিডিও করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক নাগরিক। ফেসবুকে আপলোড করা এই ৫টি ভিডিওতে ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত করিমের চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল বলে ধারণা ডিবির।

প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে চেক গেঞ্জি ও জিন্স পরা হাসনাতকে একাধিক স্থানে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করার মতো সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখা গেছে। হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের কাঁচের তৈরি মূল ফটকটিতে তাকে বেশ কয়েকবার এসে ঘুরে যেতে দেখা যায়। দুই অস্ত্রধারীর সঙ্গে ছাদেও দেখা গেছে তাকে।

এর আগে শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জিম্মি করে হত্যার পর কমান্ডো অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানের পর ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে তারা। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের নেয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। তাদের কাছে ভেতরের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে চান ডিবি কর্মকর্তারা।

মন্তব্যসমূহ