স্নানকরা দেখে ফেলায় গায়ে যুবতীর আগুন

স্নান করার সময় লুকিয়ে তাকে দেখছিল প্রতিবেশী এক যুবক। তা নিয়ে দুই বাড়ির মধ্যে শুরু হয় তুমুল গোলমাল। তা এতটাই বেড়ে যায় যে, শেষমেশ নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবতী। এখন রাজস্থানের উদয়পুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সেই যুবতী।
 যুবতীর বয়ানের ভিত্তিতে ওই যুবকের বাবা এবং এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক বেপাত্তা। বৃহস্পতিবারের ঘটনা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির বাথরুমেই স্নান করছিলেন যুবতী। চারপাশ ঘেরা থাকলেও স্নানাগারটির ছাদ ছিল না। খুটখাট আওয়াজ শুনে পেছনে ঘুরে দেখেন, খোলা অংশ দিয়েই তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী এক যুবক। ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তার চিৎকার শুনে ছুটে যান বাড়ির লোকেরা। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় যুবকটিকে। মারধর করার পর তখনকার মতো যুবকটিকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। যুবকের মুখ থেকে পুরো ঘটনাটি জানার পর তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন যুবকের বাড়ির লোকেরা। ছেলেটির বাবা এবং আর এক আত্মীয় হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যান ওই যুবতীর বাড়িতে। কেন তার ছেলেকে মারধর করা হলো, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বিবাদ বাধে। কথা-কাটাকাটি হাতাহাতিতে গড়ায়। চোখের সামনে এই সব দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি ওই যুবতী। এই সব ঝামেলার জন্য নিজেকেই দায়ী মনে করতে শুরু করেন। অনেক চেষ্টা করেও দুই পক্ষের বিবাদ থামানো না গেলে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পুলিশের কাছে নিজের বয়ান দিয়েছেন যুবতী। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ ছেলেটির বাড়ির লোকদের গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের বাবার অবশ্য দাবি, যুবতীর সঙ্গে তার ছেলের অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। তার ছেলে স্নানঘরে উঁকি মারেনি, বরং ওই সময় দুজনকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখে ফেলেছিলেন যুবতীর বাড়ির লোকেরা। তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই যুবকের বাবার কথার সত্যটা যাচাই করতে যুবতীকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। 

মন্তব্যসমূহ