সরকার অনুমোদিত নাসিং ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানে তালেব আলী মেটস কর্তৃপক্ষ ন্যাক্কারজনক কান্ড ঘটিয়ে অবশেষে পালিয়েছে। শহরের ১৪৭/৫ আর,কে মিশন রোডের মনোয়ারা মঞ্জিলের ৫ তলায় তালেব আলী মেটস অফিসে ২ ছেলেকে নগ্ন করে বেদড়ক পেটানো হয়েছে। আর ২ ছাত্রীকে ধর্ষনযজ্ঞের শিকার করেছে কর্তৃপক্ষ। ফজলুল হকের মালিকানাধীন তালেব আলী মেটস এর প্রিন্সিপাল পরেশ নাথ প্রষাদ এই ন্যাক্কারজনক কান্ড ঘটাতে তাদেরই ৪ ছাত্র-সস্ত্রাসীকে লেলিয়ে দিয়েছে।
শুধু তালেব আলী মেটসের হোস্টেলে না থেকে ক্লাশ করতে চাওয়ার অপরাধেই এই বর্বর-পাশাবিক কান্ড ঘটিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল এই ঘটনা ফাঁস হলে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা রামকৃষ্ণ মিশন রোডে তালেব আলী মেটসে ভাংচুর করে। এর আগে এলাকাবাসী লাঞ্চিত ২ ছাত্রীকে উদ্ধার করে নেয়। ধর্ষনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদশীরা জানান- এটি কল্পনাও করা যায় না। সেখানে কী বিভীষিকা হয়েছে। হোস্টেলে থাকতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় ছাত্রীদের উপর ধর্ষনস্ত্র প্রয়োগের ঘটনায় স্তম্ভিত ছাত্র-ছাত্রিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। উত্তেজিত ছাত্র-জনতার তোপের মুখে তালেব আলী কর্তৃপক্ষ পালিয়েছে। পুলিশ অফিস সীলগালা করে দিয়েছে। গতকাল বেলা আড়াইটায় ২ তলা অফিস কক্ষে ২ ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে নিগৃহ করার সময় অফিসের ম্যানেজার তোফায়েল অফিস কক্ষ বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। এর আগে মাহমুদুল হোসেন নোমান নামক ছাত্রকে অফিস কক্ষে এনে লেংটা করে বেধড়ক পেটানো হয়। এ কান্ডে প্রতিষ্ঠানটির ৩ বর্ষের ৪ ক্যাডার ছাত্রকে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ২ ছাত্রকে পেটানো ও ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত ক্যাডাররা হলো ত্রিশালের পার্থ, নালিতাবাড়ির সজীব, ও শাহদাৎ ও কিশোরগঞ্জের দীন মোহাম্মদ। প্রাথমিক তথ্য মতে ৪ ক্যাডার ছাত্র ২ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা হয় নি।
খবর পেয়ে মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রাজ্জাক উষানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা ভাংচুরের মধ্যে থেকেও নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার করে নির্বিঘে বের করে এনে প্রশংসনীয় নজীর রাখে। ছাত্রলীগ এ ঘটনায় দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা ও ছাত্র নির্যাতনের প্রতিবাদে শ্লোগান দেয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার এসআই আনিছুজ্জামান আনিছ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ও প্রতিষ্ঠানের কাউকে না পেয়ে সিলগালা করে দেন। এদিকে নির্যাতিত ২ ছাত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে নির্যাতিত ছাত্রীদের সমর্থনে একাধিক ছাত্রী ঘটনার কথা বলেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তালেব আলী মেটস এর চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোতোয়ালীর ওসি কামরুল ইসলাম বলেছেন- চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার দোষীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্যসমূহ