স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালগাঁও গ্রামের দরিদ্র নবাব আলী প্রায় পাঁচ বছর আগে তার ছেলে আবদুল জলিলকে ইরাক পাঠানোর জন্য পাঁচলাখ টাকা ঋণ করে একই গ্রামের আদম ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান মুনাকে দেন। পরে আবদুল মান্নান বিদেশে পাঠানোর জন্য জলিলকে প্রথমে লিবিয়া ও পরে ইরাকের আলাদা দু’টি ভিসা প্রদান করেন। কিন্তু ওইসব ভিসার মেয়াদ উতীর্ণ হয়ে গেলেও গত পাঁচ বছরেও জলিলকে বিদেশে পাঠাতে পারেননি। পরবর্তীতে নবাব আলী তাকে দেয়া সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার জন্য মান্নানকে চাপ দিলে তিনি বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি শুরু করেন। এদিকে, ঘটনার দিন গত শুক্রবার বিকেলে নবাব আলী তার পাওনা টাকার জন্য আদম ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান মুনার বাড়িতে গেলে দুই পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আবদুল মান্ননের ছেলে ইব্রাহীমের নেতৃত্বে একদল লোক দা-লাঠি নিয়ে নবাব আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় নবাব আলী (৬০), জমিলা খাতুন (৫০), আলমজান (৭০) ও কুলসুম (৩৫) আহত হন।
নবাব আলীর ছেলে আবদুল জলিল জানান, তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার বাবা গত পাঁচ বছর আগে ধারদেনা করে আবদুল মান্নান মুনাকে পাঁচলাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন মুনা। এই টাকা চাইতে গেলে তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়।
এদিকে জলিলকে বিদেশে পাঠানোর জন্য নবাব আলীর নিকট থেকে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন আবদুল মান্নান মুনা।
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হযরত আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ