বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও বহুল আলোচিত ১০টি মসজিদ! যাদের সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হয়ে যাবেন।

মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান হচ্ছে মসজিদ। বিশ্বজুড়েই অসাধারণ স্থাপত্যের এমন অনেক সুন্দর মসজিদ দেখতে পাওয়া যায়। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা যত দূরেই গেছে, সেখানেই স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ। সে হিসেবে ইতিহাসে মুসলমানদের শক্তির নমুনাও প্রমাণ করে মসজিদ। প্রায় ১৩০০ বছর ইউরোপ ও আফ্রিকাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঞ্চল ছিল ইসলামের ছায়ায়। ইসলামী শাসন ক্ষমতা হারালেও মসজিদ হয়ে আছে গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অনিন্দ্যসুন্দর সেসব মসজিদ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো—



১. মসজিদ আল হারাম (মক্কা, সৌদি আরব)
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহকে প্রার্থনার জন্য প্রথম ঘরটি হচ্ছে কাবা শরিফ। মসজিদ আল হারাম সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। ৪ লাখ ৮শ’ স্কয়ার ফিট সম্পন্ন মসজিদটি। হজের সময় এক সঙ্গে ৪০ লাখ মানুষ থাকতে পারে।

২. মসজিদ আল নববী (মদিনা, সৌদি আরব)
মসজিদ আল নববীকে প্রায় ডাকা হয় রাসূলের মসজিদ নামে। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এটা মুসলমানদের জন্য দ্বিতীয় পবিত্র স্থান। সবুজ ডোমটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। কারণ এখানেই শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে সমাহিত করা হয়েছে। ১৮৩৭ সালে প্রথম এই গুম্বজটিতে সবুজ রং ব্যবহার করা হয়।

৩. আল আকসা মসজিদ (জেরুজালেম, ফিলিস্তিন)
আল আকসার আরেকটি নাম বায়তুল মোকাদ্দেস। মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান এটি। মুসলমানদের প্রথম কিবলা ছিল এই মসজিদটি। আল্লাহ পরবর্তীতে কাবাকে কিবলা নির্ধারণ করে দেন।
৪. হাসান দ্বিতীয় (মরক্কো)
মরক্কোতে অবস্থিত হাসান দ্বিতীয় মসজিদটি পৃথিবীর অন্যতম বড় (৭ম) একটি মসজিদ। এই মসজিদের মিনারটি ৬৮৯ ফুট লম্বা। ১৯৯৩ সালে মসজিদটি তৈরি শেষ হয়। মিনারটি প্রায় ৬০ তলা উঁচু এবং মাথায় লেজার লাগানো আছে।

৫. সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ (ব্রুনাই)
ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদটি ব্রুনাইয়ের রাজকীয় মসজিদ। মসজিদটিকে ধরা হয় এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম সুন্দর মসজিদ হিসেবে। ১৯৫৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় নানাভাবে সাজানো হয়েছে মসজিদটিকে।

জহির মসজিদ(কেদাহ,মালয়েশিয়া)
মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশে অবস্থিত জহির মসজিদটি। মালয়েশিয়ার অন্যতম পুরাতন মসজিদ এটি। ১৯১২ সালে মসজিদটি সুলতান তাজউদ্দিন মুকারম শাহের ছেলে টুংকু মাহমুদ তৈরি করেছিলেন। মসজিদের ৫টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে ইসলামের ৫টি ভিত্তির ধারণায়।

মন্তব্যসমূহ