এই নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ১৩ জুলাই এক সালিশের আয়োজন করা হয়। উক্ত সালিশে মোঃ আজিজুল ইসলাম আজির নেতৃত্বে শাহেদ আলী, আফছর উদ্দিন, লাল মিয়া ও হাফেজ আবুবক্কর সিদ্দিক সহ গ্রামের মাতাব্বরগন হাফেজ কামরুল ইসলামকে জুতাপেটা করে সালিশি সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
এমন সংবাদ শুনে গত ১৭ জুলাই স্বাবলম্বীর পেসেস প্রকল্পের লিগ্যাল এইড এর ইউনিয়ন ম্যানেজার চঞ্চল সরকার এবং মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইন এর হালুয়াঘাট উপজেলা কমিটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল হক লিটন ঘটনা স্থলে হাজির হয়।
এ সময় প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তাকে হাফেজ কামরুল ইসলাম মাদ্রাসায় ঝাড়– দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রথমে ঝাপটে ধরে পরে তার পরিহিত সেলোয়ার খুলে ফেলে। তার পিতা তোলা মিয়া বাড়িতে না থাকায় মা সুফিয়া খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন গরিবের কোন বিচার নাই, তাই মূখ বন্ধ করে আছি। শেষে মামলা করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান কামরুলের পিতা শহীদুল তারা বড়লোক মানুষ, তাদের সাথে আমরা মামলা করে ঠিকে থাকতে পারব না। আমরা গরিব মানুষ দিন আনে দিন খাই। পরে লিগ্যালএইড এর কর্মীরা বিনামূল্যে আইনী সহায়তা প্রদান করতে প্রতিবন্ধির পরিবারকে আশ্বস্থ করেন।
মন্তব্যসমূহ