স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক সফল জননন্দিত জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মাদক ব্যবসায়ীদের আতংক জনাব মঈনুল হক সকলকে ভারাক্রান্ত করে নারায়ণগঞ্জে বদলী হয়ে চলে যাচ্ছেন। খবর ইতিমধ্যে সাড়া শহরে সর্বমহলে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ পুলিশ সুপার মঈনুল হক তার সাড়ে তিন বছর ময়মনসিংহে কর্মময় জীবনে অন্যায় এবং মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি কোন প্রকার আপোষ করেনি। তিনি সেই যে দায়িত্বভার গ্রহণ করার সময় প্রতিশ্র“তি দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন আমি যতদিন ময়মনসিংহে চাকুরী করবো ততদিন কোন প্রকার মাদক ব্যবসা চলবে না এবং কোন প্রকার অন্যায় আবদার বরদাস্ত করা হবেনা। তা তিনি সত্যিই অক্ষরে পালন করে তার পুলিশ বাহিনীকে সাহস যোগিয়েছেন। যাহোক পুলিশ সুপার চলে যাচ্ছেন খবরে মাদক ব্যবসায়িরা হুংকার দিয়ে মাদক ব্যবসায় নেমে পড়েছে। একাধিক অভিযোগে জানা গেছে নগরীর মাদক স্পট কেওয়াটখালীতে এবং আবাসন পল্লীতে মাদক ব্যবসা চলছে। জানা গেছে আবাসন পল্লীতে কৃষ্টপুরের চিহ্নিত মাদক সম্রাট সাহু ইয়াবা ও হেরোইন বিক্রি করছে। তাছাড়া কেওয়াটখালীতে একাধিক মাদক মামলার অভিযুক্ত আসামী হামে ও তার মেয়ে বুচি ও ছেলে সুমন রোজি, কসাই নজরুল, কালাফারুক, পিচ্চি রুবেল, সোহাগ এবং বহু অপকর্মের হোতা বুইল্যা বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য গত ১১ জুলাই বুইল্যার মেয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী শান্তা ও তার স্বামী জাহিদ কে ৩নং নং ফাড়ির টি.এস.আই হাবিবের হাতে ধৃত হয়। বুইল্যার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। অপরদিকে জেল হাজতে থাকা পুরোহিত পাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এখন থেকেই জামিনে মুক্তি পাওয়ার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। তারা বলছে এতদিন যাবত এসপি সাহেবের কারণে জামিন হলেও জেল গেইট থেকে বের হতে পারেনি। আবার একটি মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন হয়তো আর তা হবেনা। এ বিষয়টি সদ্য আগমনকারী নয়া পুলিশ সুপার এবং থানার ওসি হয়তো নজরে রাখবেন।
মন্তব্যসমূহ