চন্দ্রাবতী চন্দ্রমুখী
-------সেলিনা জাহান প্রিয়া
-------সেলিনা জাহান প্রিয়া
পূর্ণ চন্দ্রের মায়াবী জ্যোৎস্নায় আলো ছড়িয়ে দিয়েছি
অবগাহন করতে চাইলে আকাশ পানে দৃষ্টি মেলে দাও
আমি চাইলেই চন্দ্রের জ্যোৎস্নায় মায়াবতী নৃত্য হবে
মহাকালের মতই আমি খোঁজ রাখি সময়ের সব হিসাব।
মায়াবী চাঁদের ঐ রূপালি আলো আজ আকাশ দেখ তো
চন্দ্রাবতী তোমরা কিনে নিয়েছ আঙুর জলের শরবতে
তোমাদের যোগ্যতা আমার নুপুরে ছন্দ তুলে প্রেম বিলায়
অর্থ প্রাচুর্য যদি পূর্ণ চন্দ্রের মায়াবী জ্যোৎস্না গোলাম হয়
মহীমা , গরিমা আর ক্ষমতার চন্দ্রের কিছুই নাই ঋণ ছাড়া।
তোমরা চাঁদের জ্যোৎস্না দেখ আর আমি দেখি ঋণের বুঝা
রূপালি আলোয় তাজমহল দেখে আত্মাকে তৃপ্ত কর মন
সাগরের উন্মাদ জলে গা ভাসিয়ে দাও এটা নর্তকীর ছলনা ।
চাঁদের আকর্ষণে তোমাদের মনে প্রেমের জোয়ার দোলা দেয়,
চাঁদের নগ্ন শরীর থেকে যে আলো ঝড়ে পড়ে জ্যোৎস্না হয়ে
তোমার দৃষ্টিতে তখন চাঁদ হয়ে যায় সোনালি জলের ঢেউ
প্রেমিক মন মুচকি হাসে ! চেয়ে দেখি প্রেম নাকি কামনা ?
তোমাদের রঙিন মুহূর্তগুলো চাঁদের আলোয় বর্ণালী ছড়ায় ,
তোমরা চাঁদের রূপে মধু ঢেলে মধুচন্দ্রিমায় মেতে থাক ,
আমি চাইলেই আর হারাতে পাড়ি না তোমার চন্দ্রিমা থেকে
আমিও ভেবেছিলাম চন্দ্রস্নান হয়ত আসবে স্বপ্নের রাজ পুত্র
চাঁদের দ্বিখণ্ডিত বুকে ব্যথার প্রলেপ মধুচন্দ্রিমায় চন্দ্রমুখী
সাগর তীরে জোয়ার ভাটা উজান ভাঁটির একি নোঙর খেলা
ঝিনুক কুড়ায় মুক্তার আশায় ! তোমার মুক্তা আমার জীবন
আর তাতেই আমার দোষ কেন মুক্ত রাখি বুকে লুকিয়ে
ভালবাসার মানুষটি চাঁদ ফেলে লুটিয়ে পড়ে চন্দ্রমুখী ঘরে
আর আমাকে বানালে কলঙ্কিত চন্দ্রাবতী! তাই ঋণে মরি
ভালবাসার প্রিয় মানুষ আঙুরের শরবতে ডুবে বলে চন্দ্রমুখী
উপহাস আমার ভালবাসা আলো ছড়ায় অবগাহন করতে
বিদ্রুপ আর অবহেলায় হৃদয়কে ভেঙে চাঁদের বুকের মুক্তা
দ্বিখণ্ডিত করে দিলে হৃদয় ছিরে দেখলে মুক্তা টা তুমিই তো
ব্যথিত হৃদয় নিয়ে আমি আজ নিরবে কাঁদি জ্যোৎস্না হয়ে
আমার জীবন থেকে চন্দ্রমুখী আলো কেড়ে নিল বিশ্বাসে
তাতে আমার কি দোষ বল ? আমি চন্দ্রাবতী চন্দ্রা মাত্র
তোমার মত মানুষকে ভালবাসার চন্দ্রাবতীকে বানিয়েছ অন্ধ
তাইতো আজ চাঁদের আলো সেই বিদ্রুপের তোমায় ঘিরে থাকে ।।
মন্তব্যসমূহ