স্টাফ রিপোর্টার : বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহের সুনামধন্য পারমিতা চক্ষু ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার আড়ালে এসব কি আপত্তিকর ঘটনা ঘটছে। যা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। কেউ কোন কিছু প্রকাশ বা বলতে সাহস পাচ্ছেনা। এমন কি কোন সাংবাদিকও ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও কোন প্রকার খবর লেখার সাহস পাচ্ছেনা। স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকে অভিযোগ জানায় অত্র পারমিতা চক্ষু ক্লিনিকে বিভিন্ন ডাক্তার আসা যাওয়া করলেও পুরুষ কোন ব্রাদার নেই। শুধু আছে অনভিজ্ঞ ট্রেনিং বিহীন নার্স। পরবর্তীতে চলে ক্লিনিকে নানান ধরনের অপকর্ম যা অবস্থানরত রোগীরা দেখে ও বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এলাকাবাসী অনেকে জানায় ডা: হরিশংকর দাসের পারমিতা চক্ষু ক্লিনিকে একটি গোপন কক্ষে রাতে প্রমোদবালা আর মদের আসরও বসে যার নেপথ্য মদদদাতা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজে। অনেকে মন্তব্য করে বলেছেন পারমিতা চক্ষু ক্লিনিকের চরিত্র কিন্তু আজও বদলায়নি। এখানের মধুকুঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যার মত ঘটনাও ঘটেছে ইতিপূর্বে। যার রহস্য উদঘাটন এবং ন্যায় বিচার আজও হয়নি। বিচারের বানী নিরবে নির্বিত্তে কাঁদছে। ডা: হরি শংকরের টাকা ভারে সব কিছুই যেন ধামা-চাপা পরে গেছে। প্রকাশ ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল শহরের চরপাড়া এলাকায় ডা: হরি শংকর দাসের মালিকানাধীন পারমিতা চক্ষু ক্লিনিকের ছাদে অত্র ক্লিনিকের কর্মচারী গোপাল চন্দ্র ঘোষ (২৫) এর লাশ আঘাত চিহ্নিত অবস্থায় পরে থাকে। আর এটি কে ডা: হরিশংকর দাস তৎসময়ে এক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে যোগসাজস করে টাকা ছিটিয়ে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। অথচ পরবর্তীতে প্রকাশ পেয়েছে ক্লিনিকে প্রায় রাতই মক্ষীরানীদের নিয়ে মদের জলসা হতো নিরব কক্ষে। আর বিষয়গুলো কর্মচারী গোপাল চন্দ্র ঘোষ (২৫) দেখে ও শুনে। ঘটনা জনসম্মক্ষে প্রকাশ করার ইচ্ছা পোষ করলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রাগান্বিত হয়ে গোপাল চন্দ্রকে রাত গভীরে বেদম প্রহার করে বিদ্যুৎ শকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ কোথাও গুম করতে না পেরে ক্লিনিকের ছাদের উপরই ফেলে রাখা হয়। পরের দিন সকাল অনুমান ১১.৩০ টায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ক্লিনিকের ছাদে গিয়ে লাশের সুরৎহাল রিপোর্ট তৈরী করার সময় নিহতের বাম বগলতলীতে আঘাতের বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন পাওয়া যায় । পরে বিষয়টি টাকা ছিটিয়ে হত্যা মামলার পরিবর্তে অপমৃত্যু মামলা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। উল্লেখ্য শহরের সেহড়া ধোপাখোলা দত্তের বাড়ির মাঠা বিক্রেতা সুরেশ চন্দ্র ঘোষের ছেলে গোপাল চন্দ্র ঘোষ পারমিতা চক্ষু ক্লিনিকে বিগত চার বছর যাবত চাকুরী করে আসছিল। বিধায় সে অনেক কিছুই জানতো। তাই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল যা এখনো সিআইডি দ্বারা সঠিক তদন্ত করা হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। যা শহরবাসীর সকলেই হয়তো অবগত আছেন। আরো বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায়।
মন্তব্যসমূহ