শফিউলকে ছিনিয়ে নিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় প্রেস লেখা মোটরসাইকেল নিয়ে

 ঈদের দিন শোলাকিয়ায় আহত জঙ্গি শফিউলকে ময়মনসিংহে চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ ফিরিয়ে আনার সময় আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) গাড়িবহরে হামলা চালায়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা দুটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। যার একটির নম্বর প্লেটে ময়মনসিংহ-হ-১২-৬৮১৭ লেখা ছিল এবং অপরটিতে প্রেস লেখা ছিল।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কের নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা ডাংরি এলাকায় শফিউলকে ছিনিয়ে নিতে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের গাড়িবহরে এ হামলা চালায়। এ সময় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শফিউলসহ দুই জঙ্গি নিহত হয়।

দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার পর কিশোরগঞ্জে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় বাড়তি নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ টহল দিচ্ছে।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম জানান, র‌্যাব সদস্যরা শফিউলকে নিয়ে ময়মনসিংহের ঘোষপালা ডাংরি এলাকায় পৌঁছামাত্র হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় র‌্যাব পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে শফিউল ও অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী গুরুতর আহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।

আহত শফিউল ও অজ্ঞাত হামলাকারীকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

হামলাকারীদের গুলিতে আহত তিন র‌্যাব সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার পরপরই র‌্যাব তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলিভর্তি পিস্তল, চারটি চাপাতি, তিনটি ককটেল, কাটার ও হাতুড়িসহ হামলাকারীদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, এ ঘটনার পরপরই পুরো জেলায় এলার্ট জারি করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা চৌকি রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঈদের দিন সকাল ৯টায় শোলাকিয়া মাঠ সংলগ্ন আজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি চেক পোস্টে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের বোমা হামলায় দুই  পুলিশ সদস্য নিহত, ৮ পুলিশসহ তিন পথচারী গুরুতর আহত। এ ঘটনায় আবির নামে এক জঙ্গি ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

মন্তব্যসমূহ