অনার্স শেষবর্ষের ছাত্রী ইতির ট্রাক চালকের সাথে বিয়ে পরে সব ইতিহাস



    ঘটনাটি জানা ছিল না রংপুর কারমাইকেল কলেজের অনার্স শেষবর্ষের ছাত্রী শামীমা আক্তার ইতির (২২)।  না জানার কারণে নদীতে লাশ হয়ে ভাসতে হলো তার।
    ইতির বাড়ি লালমনিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বসুন্ধরাপাড়ায়।  গত মে মাসে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী ডাইলপট্টি এলাকার সুজনের (২৯) সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
    কিছুদিন ভালোই চলছিল তাদের সংসার।  কিন্তু সুজন যে অনেক আগেই ঢাকায় বিয়ে করে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করছিলেন তা জানা ছিল না ইতির।  বিষয়টি জানার পর থেকেই কলহ দেখা দেয় ইতির সংসারে।
    ওই কলহ যে এত ভয়াবহ রূপ নেবে তা আঁচ করতে পারেনি বাইরের কেউ।  বিষয়টি জানা গেল রোববার বাড়ির অদূরে পুকুরের পানিতে ইতির লাশ ভেসে ওঠার পর।
    খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ তা উদ্ধার করে।  রোববার দুপুরে ওই বধুর লাশ দেখে কান্না ভেঙে পড়েন স্বজনরা।
    লাশ থানায় নেয়া হলে ইতির বড় বোন কোহিনুর থানা চত্বরে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘এটা তোর কী হলো রে বোন।  না হলো তোর স্বামীর সংসার।  না হলো আর পড়ালেখা।’
    ইতির মা রেনু বেগম জানান, লালমনিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাইলপট্টি এলাকার ফুড গোডাউনের নৈশপ্রহরী বাবুল হোসেনের ছেলে হাসান ইসলাম সুজনের (২৯) সঙ্গে গত ২ মে ইতির বিয়ে হয়।
    তিনি জানান, সুজন ঢাকায় ট্রাক চালাত।  সেখানে তার আগের স্ত্রী ও সন্তান থাকার বিষয়টি ইতি জানার পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
    রোববার সকালে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার পর আর ইতিকে পাওয়া যাচ্ছিল না।  পরে লালমনিরহাট রেলওয়ে চিল্ড্রেন পার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরের পানিতে ইতির লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
    লালমনিরহাট সদর থানার ওসি রফিকুল হক জানান, বিষয়টি রহস্যজনক।  তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।  অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড হয়েছে।
    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

    মন্তব্যসমূহ