মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ
গাজীপুরের টঙ্গীতে আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা টাকা না পেয়ে ২৬দিন যাবৎ নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা টাকা না পেয়ে ২৬দিন যাবৎ নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে ৩ আগস্ট বুধবার ওই হাসপাতালে ৫ তলা ৫০২নং রুমে সরেজমিনে গিয়ে রোগী দুলাল তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, আমি জয়দেবপুর এলাকায় চুরি ফিতা ফেরি করে বিক্রি করি। গত রোজার ঈদের দিন ৭-৭-২০১৬ইং তারিখে আমার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। পরে সদর হাসপাতালে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে বহিরাগত লোক এ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় নেয়ার পথে ওই লোক বলে ঈদের দিনে ঢাকার হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে রোগীকে নেয়া হয় আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে, সেখানে দেয়া হয় দুলালের চিকিৎসা। তিন দিন পর চিকিৎসা খরচ বাবদ ১লাখ ৮০হাজার টাকা লাগবে বলে টাকার জন্য চাপ দেয় রোগী দুলালকে। এতো টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে স্যার আমি ফেরি করে ভাত খাই এতো টাকা কোথায় পাবো। আমি ২০ হাজার টাকা দিতে পারবো আমার সাথে লোকদেন। এরপর থেকে শুরু হয় দুলালের উপর অমানষিক নির্যাতন। হাসপাতালে একটি কক্ষে আটক করে নজরদারিতে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি টাকা না দিলে টঙ্গী থানা পুলিশ হাসপালে এসে রোগীকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় বলে জানায় রোগী দুলাল।
তিনি আরো জানান, আমাকে এক বেলা খাবার দেয়তো আরেক বেলা খাবার দেয় না। আমি এখন খুব কষ্টে দিনযাপন করতেছি এবং কষ্ট সর্য্য করতে না পেরে আমি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। সেটাতেই আমি ব্যর্থ হই।
এদিকে হাসপাতালের মালিককে না পাওয়া গেলেও জি.এম. শহিদুল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানায়, রোগী দুলাল ঈদের দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ৮/১০দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর তার বিল হয়েছে ১ লাখ ৮০হাজার টাকা। সে এই টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। তাকে হাসপাতালে রেখে নজরদারিতে রেখে টাকা উদ্ধার চেষ্টা।
মন্তব্যসমূহ