গফরগাঁওয়ে উপবৃত্তির ৯ লাখ টাকা ফেরত

নিউজ ডেস্ক : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির নয় লাখ টাকা ফেরত গেছে সরকারী কোষাগারে।সোনালী ব্যাংক গফরগাঁও শাখা ব্যবস্থাপক ওমর আলী জানান,টাকা বিতরণের সময় বিদ্যালয় গুলোতে ভূয়া কার্ডধারী শিক্ষার্থী ও স্কুল প্রধানদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এসব টাকা সরকারী কোষাগারের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়,২০১৫/১৬অর্থ বছরের গফরগাঁও উপজেলার ২৩৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য সোনালী ব্যাংক গফরগাঁও শাখায় সরকারী বরাদ্ধ দেওয়া হয় ৪ কোটি ৯১লাখ ৯৯হাজার ৮৫০ টাকা।সে মোতাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য ৪ কোটি ৮৬লাখ ৫৯ হাজার ৯০০টাকার একটি চাহিদা পত্র জমা দেওয়া হয় সোনালী ব্যাংক গফরগাঁও শাখায়।চাহিদা অনুযায়ী গত ১৩জুলাই থেকে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ শুরু করেন সোনালী ব্যাংক গফরগাঁও শাখা।কিন্তু টাকা বিতরণে সময় অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ভুয়া শিক্ষার্থীসহ স্কুল প্রধানদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি কারণে চলতি অর্থ বছরে ৯ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত গেছে।
উপজেলার পাাঁচবাগ ইউনিয়নের চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সুবিধাভোগি ৫৭৩ জনের মধ্যে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়।প্রতি শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা উপবৃত্তি দেওয়ার কথা।সে হিসেবে এক জন শিক্ষার্থী গত এক বছরের ১২শ’টাকা করে উপবৃত্তি পাওয়ার কথা।চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার আলম চাকলাদার টাকা বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক টাকা কেটে রাখে।এসময় উত্তেজিত অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার আলম চাকলাদারকে কক্ষে অবরোদ্ধ করে রাখে।খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ বন্ধ করে দেয়।
যেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ ও ভুয়া কার্ডধারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত গেছে তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১লাখ ৮৫ হাজার ৬০০টাকা,দক্ষিণ চরমছলন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূয়া কার্ডধারী শিক্ষার্থীর ৬৭ হাজার টাকা,কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২৮ হাজার ৩০০শ।এছাড়াও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের শরিফ ফরাজি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন আলমগীর হোসেন,চরকালীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান,যেসব বিদ্যালয়ের প্রধন শিক্ষক উপবৃত্তির তালিকায় ভূয়া শিক্ষার্থীর নাম অন্তভূক্তি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ শঙ্কর কুন্ডুর মাধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ